স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইল ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ধনবাড়ি-মধুপুর আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের আপন ছোট ভাই ও মুশুদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি দখল করে মাটি ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার দুপুরে ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি বাজারে দখলকৃত জমির উপর কায়সারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগীরা।
এর আগে ভূক্তভোগীরা ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগীরা বলেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রীর ভাই মুশুদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল ইসলাম জোরপূর্বক কৃষকদের তিন ফসলী, চার ফসলী জমি দখল করে তার উপর মাটি ফেলেছে। জমিতে থাকা পাকা ধান, সরিষাও মাটি চাপা দিয়েছে। তার ভাই ড. আব্দুর রাজ্জাক কৃষিমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে এই কাজগুলো করেছেন। তাদের অভিযোগ, ভাই কৃষিমন্ত্রীর আশ্রয় প্রশ্রয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই জমি বেদখল করেছে কায়সার।
এ সময় ভূক্তভোগী মোহাম্মদ রাজু মিয়া বলেন, আমার ৫২ শতাংশ জমি সাবেক কৃষিমন্ত্রীর ভাই কায়সার জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। সে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে দখল করেছে। কায়সার চেয়ারম্যান সাবেক কৃষিমন্ত্রীর ভাই হওয়ার সুবাধে এলাকায় তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সঠিক বিচার দাবী করছি।
ভূক্তভোগী মোস্তফা মিয়া নামে একজন বলেন,আমার পৈত্তিক সম্পত্তি ৪২ শতাংশ জমি দখল করেছে কায়সার চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যানের যেন জমি দখল করাই নেশা। তার ক্ষমতার সামনে কেউ নাই। রাজ্জাক সাহেব যখন মন্ত্রী ছিল তখন ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন লোকের জমি দখল করেছে। প্রতিবাদ করার সাহস কেউ পায়না ।
বলিভদ্র গ্রামের মৃত হাজী ফজর আলীর ছেলে ভূক্তভোগী মতিয়ার রহমান বলেন, ৬৬ শতাংশ জমি দখল করেছে কায়সার চেয়ারম্যান, সেখানে সে তার লোকজন নিয়ে বসে থাকে। যদি জমিতে যাই তাহলে মেরে ফেলার হুমকিও দেন চেয়ারম্যান। তার ভাই এমপি ও কিছুদিন আগেও মন্ত্রী ছিল, যার ফলে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেও তার উপর হামলা হয়।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দর রাজ্জাকের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মুশুদ্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক এমপির ভাই কায়সার ইসলাম বলেন, এ সকল বিষয় অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট, আমার বিরুদ্ধে ও আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমার জমিতে মাটি ফেলতাছি অন্য কারো জমিতে না।
এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হারুন অর রশিদ বলেন, অভিযোগের কাগজটি এখনো হাতে পাইনি। হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
