শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘাটাইল পৌরসভার খরাবর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আহাদের বাসার মালিকের স্ত্রী মালা খাতুন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত আহাদ আলী আরএফএল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায়। চাকরির সুবাদে ঘাটাইল পৌরসভার খরাবর এলাকায় আব্দুল আলীমের বাসায় স্ত্রী মিলি খাতুনকে (২০) নিয়ে ভাড়া থাকতেন। তাদের সংসারে আড়াই মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
তাদের প্রতিবেশী মোহনা খাতুন জানান, গতকাল দুপুরে আহাদ ও তার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। পরে আহাদের স্ত্রী পাশের একটি বাসায় চলে যায়। এরপর কী হয়েছে তা তিনি জানেন না। বাসার মালিক আব্দুল আলীমের স্ত্রী মালা খাতুন জানান, আহাদের কাছে ভাড়া দেওয়া বাসাটি নতুন করেছেন। একটু দূরে পুরাতন বাসায় তারা থাকেন।
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যার পর একজন লোক এসে আমাকে জানায় আপনাদের নতুন বাসায় কোলাহল শুনে আসলাম। মনে হয় কিছু একটা হয়েছে। এ কথা শুনে আমি ওই বাসায় যাই। সবাই ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কেউ দরজা খুলছিল না। পরে শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে গিয়ে দেখি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন আহাদ। পাশেই হাত-পা ও মাজায় রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় আহাদের স্ত্রী মিলি খাতুনকে। পরে রশি কেটে আহাদকে নামিয়ে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান আগেই মারা গেছেন আহাদ।’
ঘাটাইল থানার উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, আহাদের লাশ এবং তার স্ত্রীকে হাসপাতালে পেয়েছেন তারা। লাশ মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কী ঘটেছিল তা তদন্তের পর জানা যাবে বলে তিনি জানান।