টাঙ্গাইলে রাতে শীতার্তদের মাঝে মানবাধিকার কর্মীদের কম্বল বিতরণ

টাঙ্গাইল জেলা টাঙ্গাইল সদর দেশ জুড়ে সংগঠন
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের বৃহৎ মানবাধিকার সংস্থা “হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটি” টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে রাতে ঘুরে ঘুরে অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন কার্যক্রম শুরু হয়েছে । মানবতার কল্যাণে অগ্রগামী সেচ্ছাসেবী এই সংস্থার নেতৃবৃন্দ বুধবার রাত থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেন।
টাঙ্গাইলে জেলা শহরের রেল স্টেশন, রাবনা বাইপাস, নতুন বাস স্ট্যান্ড, পুরাতন বাস স্ট্যান্ড, নিরালা মোড়, শান্তিকুঞ্জের মোড়’সহ  বিভিন্ন স্থানে রাতে ঘুরে ঘুরে অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করেন তারা। প্রচন্ড শীতের রাতে জবুথবু হয়ে রাস্তার ধারে, ফুটপাতে ঘুমাতে হয় গৃহহীন মানুষদের।
গভীর রাতে সবাই যখন গভীর ঘুমে, শীতার্ত মানুষদের গায়ে উষ্ণ কম্বল জড়িয়ে দিতেই এই আয়োজন। এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন “হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটি” টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), সহ সভাপতি সেলিনা বেগম, সায়মা খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাবুল, কার্যকরী সদস্য রহমাতুল্লাহ’সহ অন্যান্য মানবাধিকারকর্মীগণ। হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটি” টাঙ্গাইল জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতি বছরই শীত আসলেই চোখে পড়ে ছিন্নমূল, অসহায় মানুষের হাড় কাঁপানো কষ্ট। আমরা আমাদের সাধ্যমত অসহায় দুঃস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি।
শীতার্ত মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছি কম্বল কম্বল ও শীত নিবারণের অন্যান্য কাপড়। মানুষের কল্যাণে, মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করার লক্ষ্যে আমরা দেশের বৃহৎ মানবাধিকার সংস্থা “হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি”র পতাকাতলে সমবেত হয়েছি। এই মানবাধিকার সংস্থাটি সর্বস্তরে আইনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে, মানবাধিকার রক্ষায় নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক এবং অলাভজনক মানবাধিকার বিষয়ক বৃহৎ প্রতিষ্ঠান। ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র, সাদা-কালো, উঁচু-নিচু, ধর্ম-বর্ণ-জাত যাই হোক না কেন, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ। আসুন সবাই যারযার অবস্থান থেকে সাধ্যমত মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করি। প্রতিদিন অন্তত একটি হলেও ভালো কাজ করি। ভালো কাজের জন্য একে অপরকে উৎসায়িত করি। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করতে ভালোলাগে। এই ভালোলাগা থেকেই আমাদের পথচলা। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সাধ্যমত আমরা এগিয়ে আসলে হাসি ফুটবে সকলের মুখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *