স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলে বিয়ের দাবিতে এক মাস যাবত প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা(২৭) অবস্থান করছে এমন অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রেমিকের নাম মো. এবাদত সরকার (২৩) সে পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের বোয়ালী গ্রামের মো. ইউনুছ আলীর ছেলে । বর্তমানে ওই প্রেমিক সৌদি আরবে কর্মরত রয়েছে।
প্রেমিকা জানায়, গত ১০ মাস পূর্বে প্রেমিক এবাদত সরকারের সাথে তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে। পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রেমে পরিনত হয়। প্রেমিক ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাস দেন বলে জানাযায় । দুইমাস পুর্বে প্রেমিক এবাদত সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে আসে। দেশে আসার পর ওই নারীকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি ও হোটেলে সময় কাটান । প্রেমের বিষয়টি প্রেমিকের পরিবার জানলে তরিগড়ি করে প্রেমিক এবাদতকে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দেয় । এবাদত প্রবাসে গিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয় ।
অবস্থান নেওয়ার পর প্রেমিক এবাদতে পরিবার ওই প্রেমিকাকে মারধর করে এবং প্রেমিকার ফোন থেকে প্রেমের অনেক প্রমাণ ডিলিট করে দেয়। বিপাকে পড়ে ওই নারী । একমাস যাবত প্রেমিকার বাড়িতে অবস্থান করে মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে জানায় ওই নারী।
স্থানীয়রা জানায় ওই নারী এবাদতদের বাড়ির সামনে অবস্থান করছে। মেয়ের মুখে শুনেছি এবাদতের সাথে তার প্রেম রয়েছে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।
প্রেমিক এবাদতের মা লিলি আক্তার মুঠোফোনে জানান, বেশ কিছুদিন যাবত মেয়েটি আমাদের বাসার সামনে অবস্থান করছে। মেয়েটির সম্পর্কে আমরা খোঁজ খবর নিয়েছি। তার স্বভাব চরিত্র ভাল নয়, ইতোপুর্বে সে করটিয়া আরাফাত নামের এক ছেলেকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ২ লাখ টাকা আদায় করেছে। যেহেতু আমার ছেলে তাকে পছন্দ করেনা সেহেতু পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেওয়া প্রশ্নই উঠে না।