কালিহাতীতে মনোনয়ন জমা দিলেন সিদ্দিকী পরিবারের দুই ভাই

কালিহাতী টাঙ্গাইল জেলা রাজনীতি সংগঠন

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও শাহাদাত হুসেইনের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা।

আবদুল লতিফ সিদ্দিকী কালিহাতী থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হয়েছেন। ২০১৪ সালে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে আওয়ামী লীগ ও মন্ত্রীসভা থেকে বাদ পড়েন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে এসেছেন। ২০১৮ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও পরবর্তীতে নির্বাচন থেকে সরে যান। লতিফ সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, লতিফ সিদ্দিকীর সহধর্মিণী সাবেক এমপি লায়লা সিদ্দিকী ও সরকারি সাদত কলেজের সাবেক ভিপি আজাদ সিদ্দিকীসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এদিকে লতিফ সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বের হয়ে গেলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার রুমে ঢুকেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী। তিনি মোট ভোটারের এক শতাংশ স্বাক্ষর জমা দেন। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতী এবং টাঙ্গাইল-৫ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

 

 

মনোনয়ন না পেয়ে তিনি দুটি আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল সদর আসন থেকে নির্বাচন করে উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়ে পরাজিত হন। মুরাদ সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র বাবুল সিদ্দিকী, নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রানা সিদ্দিকী, বল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান আসলাম ও জেলা ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মনি আরজুসহ নেতাকর্মীরা। এদিকে দুই ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমাদানের বিষয়টি কালিহাতীসহ পুরো টাঙ্গাইলে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে। উৎসুক মানুষ কালিহাতী উপজেলা চত্বরে এসে ভিড় করেন। উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের সিদ্দিকী পরিবারের পৈত্রিক নিবাস কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের ছাতিহাটী গ্রামে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *