তিনশ’ আসনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে সংশয়ে আছেন-বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল জেলা টাঙ্গাইল সদর দেশ জুড়ে রাজনীতি

স্টাফ রিপোর্টার: তিনশ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেছেন, তিনশ’ আসনের প্রত্যেকটিতে আমরা প্রার্থী নাও দিতে পারি- আমাদের এতো প্রস্তুতি নেই, এতো বড় দলও আমরা না। তবে অসংখ্য আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে এবং অন্যদলের লোকজনকেও আমাদের গামছা উপহার দেব।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ভাসানী হুজুরের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচন হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। আওয়ামীলীগের সাথে জোট করলে নির্বাচন করবো কার সাথে। বিএনপি নির্বাচনে নাই, জাতীয় পার্টিও টানাটানি করছে। আমরা আওয়ামীলীগের সাথে যদি জোট করি মানুষ কাকে ভোট দিবে। মানুষের ভোট দেওয়ার জায়গা থাকবে না।

বঙ্গবীর বলেন, আমরা আমেরিকায় বাস করি না বাংলাদেশে বাস করি। আমেরিকা স্যাংশন দিবে এই ভয়ে আমরা বিয়ে করবো না, বউ তালাক দিবো। মেয়ের বিয়ে হবে না, ছেলের বিয়ে করাবো না- এটা চিন্তা-ভাবনা করা উচিত না। এটা জাতীয় পার্টির জিএম কাদের জীবনের একটি শ্রেষ্ঠ ভুল কথা বলেছেন। এটাও বলবো আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে এতো দৌঁড়াদৌঁড়ি ভালো না। এটা তার দেশের ইলেকশন না- ইলেকশন আমাদের দেশের।

কাদের সিদ্দিকী আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে উদ্দেশ করে বলেন, পিটার হাস তিনটা দলকে চিঠি দিয়েছেন সংলাপের জন্য। বাংলাদেশে আর মানুষ নাই? বাংলাদেশে আর দল নাই? তিনিই তো তিনটি দলকে চিঠি দিয়ে দেশকে ভাগ করেছেন, বিভক্ত করেছেন- এটা তো গর্হিত কাজ, অন্যায় কাজ। এ জন্যই তো তার শাস্তি পাওয়া উচিত- স্যাংশন পাওয়া উচিত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে। আমাদের ছোট দেশ বলে গরীব মানুষের সুন্দরী বউয়ের মতো যে যা খুশি তাই করবে- এটা হতে পারে না। এটা চলতেই পারে না। এই তিনটি দলকে চিঠি দিয়ে অন্যায় করেছে তাই তাকে দেশের সংবিধান অনুযায়ী আইনের আওতায় আনা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকার সমর্থন নেওয়া বিএনপিকে মুসলমানের ভোট দেওয়া উচিত না। ইসরাইল যেভাবে গাজার উপর অত্যাচার করছে, মুসলমানদের হত্যা করছে বৃদ্ধ-শিশুকে হত্যা করছে এই অবস্থায় আমেরিকাকে একটুও ছাড় দেওয়া উচিত না। তফসিল প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়েছে- এটা নিয়ে অনেকে খুশি না। আমি নিজেও খুশি না। কিন্তু তার পরেও বলবো একটি গণতান্ত্রিক দেশে পাঁচ বছর পর পর অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হওয়া দরকার, বঙ্গবন্ধু নিজে বলেছেন- সকল প্রকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচন করতে হবে।

আমি বলবো এখন সরকার নাই এখন সরকার নির্বাচন কমিশন। ইচ্ছে স্বাধীন যেনো কোন কিছু না করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো ভোটারহীন ভোট হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও সব থেকে বেশি ক্ষতি হবে বাংলাদেশের এবং তার থেকে বেশি ক্ষতি হবে আমার বোন শেখ হাসিনার।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ রাখার তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত মওলানা ভাসানীর মাজার সকলের জন্য উম্মুক্ত রাখা। সকলেই যেনো ভাসানী হুজুরের মাজার জিয়ারত করতে পারে।

এসময় কাদের সিদ্দিকীর সাথে উপস্থিত ছিলেন সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব, ভাসানীর নাতি হাসরত খান ভাসানীসহ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা।

 

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *