মোবাইল অ্যাপের যুগে কৃষি

অর্থনীতি কৃষি টাঙ্গাইল জেলা তথ্য ও প্রযুক্তি দেশ জুড়ে মধুপুর

বিশেষ প্রতিনিধি
কৃষকের স্কুল নেই, নেই সঠিক সময়ে ফসল উৎপাদনের সঠিক ধারণা। সে সকল দিক বিবেচনা করে ডিজিটাল প্লাটফর্ম হিসেবে খামারি মোবাইল অ্যাপের যুগে প্রবেশ করছে কৃষি। খামারি অ্যাপ ব্যবহারে কৃষি ও কৃষক এগিয়ে যাবে। ফসল উৎপাদন বাড়বে, খরচও কমবে। মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারে কৃষকরা জানতে পারবে কোন জমিতে কোন সময়ে কোন ধরনের ফসল হবে। সার প্রয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে অতি সহজেই কৃষকরা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারবে।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি উত্তরপাড়ায় খামারি অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাই ও উচ্চফলনশীল জাতের ধানের কর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সহযোগিতায় ছিলো কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।

বিএআরসি কর্তৃক তৈরি ‘খামারি’ মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা সরেজমিনে দেখে কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেন, দেশের যে কোন মৌজার সুনির্দিষ্টভাবে একটি প্লট বা জমিতে কী ধরনের ফসল হবে, কতটুকু সার, বীজ লাগবে, সব তথ্য খামারি অ্যাপে পাওয়া যাবে। খামারি অ্যাপ ব্যবহার করলে ধান আবাদে সারের পরিমিত ব্যবহার করা যাবে, এতে ধানের জমিতে বিঘাপ্রতি সারের খরচ এক হাজার টাকা কমবে। ধানের ফলনও বিঘাপ্রতি এক মণ বাড়বে।

তিনি বলেন, দেশের চাষিরা ইউরিয়া ও অন্যান্য সার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ব্যবহার করে। বেশি সার দিলেই বেশি ফলন হয় না। যতটুক দরকার, ততটুকু সার দিতে হবে। এক্ষেত্রে খামারি অ্যাপ কৃষকদের সহায়তা করবে।

এ সময় উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি ধান ১০৩ এর নমুনা কর্তন করা হয়।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ দেশে জমি কমছে। ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান বজায় রাখতে হলে উন্নত ও উচ্চফলনশীল জাতের ধানের আবাদ ছড়িয়ে দিতে হবে।

উল্লেখ্য, নমুনা কর্তনে ব্রিধান ১০৩ এর বিঘাপ্রতি প্রায় ২৫ মণ ফলন পাওয়া গেছে। দেশের অন্যান্য জায়গাতেও একইরকম ফলন পাওয়া গেছে। ব্রি ধান১০৩ জাতের গড় জীবন কাল ১৩০ দিন (১২৮-১৩৩ দিন)। প্রচলিত জাতের তুলনায় এর বৈশিষ্ট্য হলো, ব্রি ধান ১০৩ এর কান্ড শক্ত, পাতা হালকা সবুজ এবং ডিগ পাতা খাড়, লম্বা ও চওড়া।

অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, স্কয়ার হাসপাতালের উপদেষ্টা ডাক্তার সানোয়ার হোসেন, ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর রশীদ হীরা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *