স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রতিবেশি এক নারীকে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান । এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ইতোমধ্যে । শুধু চেয়ারম্যান নয় তার সাথে প্রতিবেশী রুবেলও ওই নারীকে মারধর করেন । অভিযুক্ত নূরে আলম মুক্তা উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরকার । এরআগে ওই নারীর মেয়েকে বিদ্যালয়ে চেয়ারম্যানের বউ গালিগালাজ করার ঘটনায় চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে গিয়েছিল বলে জানান নির্যাতিতা নারী । এ ঘটনায় রোববার (৩ মার্চ) বিকেলে ওই চেয়ারম্যানের বিচার চেয়ে সখীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ওই নারী । এছাড়া একইদিন উপজেলার কালীদাস বাজারে চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী ।
গত শনিবার (২মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওর্য়াডে এ ঘটনা ঘটে । অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভুক্তভোগী ওই নারীকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ।
ভিডিও তে দেখা যায় ভুক্তভোগী ওই নারী তার সন্তানের বিচার চাইতে প্রতিবেশী চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার কাছে যায় ওই নারী । এসময় ওই নারীতে উত্তেজিত হয়ে কথা বলায় প্রতিবেশী রুবেলের (৩৫) এসে ওই নারীর সাথে বাগবির্তক শুরু করে । এক পর্যায়ে মহিলাটি রুবেলের উপর চরাও হলে এরপর রুবেল সহ চেয়ারম্যানও তাকে মারধর করেন ।
জানা গেছে, সখীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন ওই নারী । একই এলাকায় বসবাস করেন উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তাও । দুজনের মেয়েই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী । সম্প্রতি চেয়ারম্যানের মেয়ে ও ওই নারীর মেয়ের মধ্যে ‘তুচ্ছ একটি ঘটনাকে’ কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের স্ত্রী বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই নারীর মেয়েকে গালিগালাজ করেন । এর বিচার চাইতে গেলে মারধরের শিকার হয় ওই নারী ।
ভুক্তভোগি ওই নারী বলেন, মেয়েকে হুমকি-ধামকি ও গালিগালাজের বিচার দিতে গেলে চেয়ারম্যান ও তাঁর আরেক প্রতিবেশী রুবেল আমাকে বেধড়ক মারপিট করে । তারা এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে আমার শরীর জখম করে দিয়েছেন ।
ইউপি চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা বলেন, ওই মহিলা পরিকল্পিতভাবে আরেক মহিলাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল । সে বাচ্চাদের স্কুলের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার বাসার গেটে লাথি মেরে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেছে । পরে এক প্রতিবেশী প্রতিবাদ করলে ওই মহিলা প্রথমে প্রতিবেশীর গায়ে হাত তুলেছে । আমাকে ফাঁসাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি কেটে আংশিক প্রকাশ করা হয়েছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।