টাঙ্গাইল মির্জাপুরে ড.আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল এন্ড কলেজের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী

টাঙ্গাইল জেলা দেশ জুড়ে মির্জাপুর শিক্ষা

টি-নিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইল মির্জাপুরে কদিমধল্যায় ড.আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল এন্ড কলেজের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও শহীদ মিনার উদ্বোধন করা হয়েছে ।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ফার্স্ট লেডি ড.রেবেকা সুলতানা,সভাপতিত্ব করেন ড. আয়েশা রাজিয়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ,সাবেক সচিব ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক ড.খোন্দকার শওকত হোসেন ।

প্রধান অতিথি বলেন শিক্ষা ব্যবস্থা একটি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে । জ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে । আমরা থাকবোনা আমরা অনেক পথ চলে এসেছি কিন্তু তোমাদের অনেক আগাতে হবে আশা করি তোমরা সেই জায়গায যাবে। আমি সেই কামনা করছি । স্কুলে এস আবেগে আপ্লুত হয়েছি মনের গভীরে আমি স্মুতি রেখে দিলাম। তোমাদের জন্য অনেক ভালবাসা ও শুভকামনা রইল ।
তিনি আরও বলেন ড.আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ও আজকেরে অনুষ্ঠানের সভাপতি আমার সাবেক সহকর্মী যার যে এতোগুন আজকে স্কুলে সে গুনের সমস্ত পুর্নাঙ্গ আমি দেখতে পাচ্ছি ।
ড. আয়েশা রাজিয়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন, এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার কোন পরিকল্পনা ছিল না কিন্তু যখন আমি জানলাম প্রাইমারি স্কুল পাস করার পরে ছেলেরা বা মেয়েরা হাইস্কুলে পড়তে যায় না সেইক্ষেত্রে মেয়েদের পরিনতি হচ্ছে বাল্য বিবাহ ছেলেদের পরিনতি হচ্ছে তার শৃংখলার মধ্যে থাকে সেই জন্যে আমি খুব উদ্দিগন্ন হয়ে এই প্রতিষ্ঠান ২০১০ সালে শুরু করেছিলাম । তৎকালিন শিক্ষামন্ত্রী এই প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করে ছিলেন । সেই থেকে এটার অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে । এখন প্রায় হাজর খানি ছেলে মেয়ে এখানে লেখাপাড়া করে এবং আশেপাশের কোনগ্রামের কোন ছেলে মেয়ে আজ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না । আমার উদ্দেশ্য দ্বাদশ শ্রেনী পাশ করিয়ে দেওয়া তাদের চোখ খুলে দেওয়া তখন  স্নাতক পর্যায়ে পাশ করার জন্য তারই তাদের জন্য যথেষ্ট থাকবে ।
তিনি আরও বলেন মায়ের গর্ভে জন্মনিয়ে যেমন ভাই বোন হয়, ঠিক তেমনি বিসিএস প্রশাসনের কোন ব্যাচের সদস্যরা তেমনি ভাই বোন হয় । সেইজন্য আমাদের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ফার্স্ট লেডি আমাদের ভাইবোন হিসাবে সম্বোধন করেন আমরাও তাকে বোন হিসাবে সম্বোধন করি । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ফার্স্ট লেডি শহীদ মিনার উদ্বোধনের কারনে এই স্মরক চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে ।
ছাত্র- ছাত্রীদেও অংশগ্রহনে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে –যুদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রদর্শন করা হয় ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন আহমেদ,মির্জাপুরের নিবার্হী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন,ড.আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল  কলেজের অধ্যক্ষ কাজী আব্দুল হান্নান, প্রমুখ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *