টাঙ্গাইল ঘাটাইলে বনের জমিতে দোকান নির্মাণের অভিযোগ

ঘাটাইল টাঙ্গাইল জেলা দেশ জুড়ে
স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়ন কামালপুর মৌজা সাগরদিঘী বিট আওতাধীন কামালপুর গ্রামের সোবহান মার্কেটে সরকারি বনের জমি দখল করে দুই তলা দোকান ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে কামালপুর গ্রামের এক গৃহবধুর বিরুদ্ধে ।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় ধলপাড়া রেঞ্জের সাগরদিঘী বন বিট অফিসের আওতাধীন কামালপুর মৌজা ১৮ দাগের ১৭ শতাংশ ৮ নং প্লট টি কামালপুর গ্রামের মৃত. আবেদ আলীর ছেলে মো.নাজিম উদ্দীন নামে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয় । প্লটের মালিক মো. নাজিম উদ্দীন ১৭ শতাংশ প্লট থেকে ২ শতাংশ সরকারি বনে জমি গোপনে কামালপুর গ্রামের আমজাদের স্ত্রী ফুল খাতুন কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে পল্টনের জমির উপর বন গাছ কেটে ফেলে দিয়ে পল্টনের মালিক নাজিম উদ্দীনের সাথে আমজাদ আলীর স্ত্রী ফুল খাতুন সমন্বয় করে এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী মহলের মাধ্যমে বন বিভাগ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারি বনের জমি দখল করে একটি দুই তলা দোকান ঘর নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন আমজাদ আলীর স্ত্রী ফুলখাতুন ।
নাম না বলার শর্তে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, সাগরদিঘী বন বিট অফিস কামালপুর মৌজা ১৮ দাগের ১৭ শতাংশ ৮ নং পল্টনটি কামালপুর গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে মো. নাজিম উদ্দীনের নামে সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। পল্টনটির উত্তরে রাস্তা, দক্ষিন বাগান, পূর্বে বাইদ ভূমি এবং পশ্চিমে রাস্তা। দক্ষিণের সামনে থেকে ২ শতাংশ জমি মো. নাজিম উদ্দীন, ফুল খাতুন এর কাছে বিক্রি করে দেয়। বিট কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে অবগত করলে দোকানঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ঘর ভাঙ্গার কোন পদক্ষেপ না নিয়ে মৌখিকভাবে বলে যায়। বিট অফিসের লোকজন যাওয়ার পরপরই দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। এলাকার প্রভাবশালী মহলের মাধ্যমে সাগরদিঘী বন বিট কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই ওই দোকান ঘর নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন।
প্লটের মালিক নাজিম উদ্দীন জানান, ৮ নং পল্টনটি দক্ষিণ পাশে সামনে থেকে ২ শতাংশ জমি তিন বছর আগে ফুল খাতুন এর কাছে বিক্রি করেন, সেই জমিতে তিনি দুইতলা দোকান ঘর নির্মাণ কাজ করছেন। ফুল খাতুন জানান অনেক টাকা দিয়ে জমি টুকু কিনেছেন। বনের জমি আমি মো. নাজিম উদ্দীন এর কাছ থেকে কিনা নিয়ে তিনি দোকান ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। স্বামী থাকে বিদেশ সে এত কিছু বুঝে না সব কিছুই করে দেয় তার চাচাত ভাই শহিদুল তার সাথে যোগাযোগ করেন।
সাগরদিঘী বিট কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান টিটু মুঠো ফোনে জানান বিষয়টি আমি দেখছি। দোকান ঘরের নির্মাণ কাজ আর করতে পারবে না । আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *