টাঙ্গাইল ঘুরে : লাল রঙের ড্রাগন ফল এখন লাল সবুজে

টাঙ্গাইল জেলা টাঙ্গাইল সদর দেশ জুড়ে

টি-নিউজ ডেস্ক:বাজারে যে সব ড্রাগন পাওয়া যাচ্ছে তাতে বিষাক্ত গ্রোথ-টনিক আর হরমোন স্প্রে করার অভিযোগ উঠেছে। শীত মৌসুমে শহরের অলিগলি ছেয়ে গেছে ড্রাগন ফলে।টনিক ব্যবহারে লাল রঙের ড্রাগন এখন লাল সবুজে পরিণত হয়েছে।
ফলটি বিদেশি হলেও এখন রাঙ্গামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক চাষ শুরু হয়েছে। সময়ের সাথে বাড়তে থাকে এর ব্যাপকতা।সুন্দর লাল রং,অসাধারণ স্বাদ ও ঔষধি গুণসম্পন্ন হওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে ব্যপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ড্রাগন ফলটি।
এ সুযোগে বাজারে চাহিদা থাকায় অসাধু চাষীরা অধিক লাভবান হওয়ার আশায় প্রাকৃতিক উপায়ে চাষাবাদ বাদ দিয়ে টনিকসহ বিভিন্ন হরমোন ব্যবহার করে থাকে বলে জানা যায়।
ড্রাগন ফল ধীরে ধীরে যখন সাধারণ মানুষের কাছে পছন্দের একটি ফলের তালিকায় যোগ হতে শুরু করেছে,ঠিক সেই সময়ে কতিপয় অসাধু কিছু কৃষক গাছে থাকা অবস্থায় দ্রুত বড় করার জন্য গ্রোথ হরমোন স্প্রে করছেন। স্প্রে করার ফলে একেকটি ফল ৭০০ গ্রাম থেকে ১কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এক ড্রাগন ফল ক্রেতা জানান, এর আগে এত বড় ড্রাগন ফল কখনো দেখিনি আমি। এই প্রথম দেখলাম।
জানাযায়,পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত দানব আকারের ড্রাগন ফলগুলো সাধারণত তিন জাতের হয়ে থাকে। যেমন-পারপেল ড্রাগন ফল,কনডোর ড্রাগন ফল ও হেলী কমেন্ট ড্রাগন ফল।
টাঙ্গাইল হর্টিকালচারের নার্সারী তত্বাবধায়ক মো:আব্দুল মান্নান বলেন- আমরা যে ফলটা উৎপাদন করে থাকি তা প্রাকৃতিক ও টনিক ব্যবহার ছাড়া।বর্তমান বাজারে যে ড্রাগন ফলটি দেখা যাচ্ছে তা খতিকার কি না তা আমরা এখনও অবগত না।
টাঙ্গাইল উপজেলা কৃষি অফিসার মো:আরিফুর রহমান,ড্রাগন ফলটি একটি উপকারিতা ফল। কম বেশী সব ফলেই গ্রোথ হরমন ব্যবহার করা হয়। তিনি আরো বলেন,বর্তমানে যে ড্রাগন ফলটি দেখা যাচ্ছে তা গ্রোথ হরমন ব্যবহার করার ফলে ফলগুলি বড় হচ্ছে। এতে মানুষের ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। যদি ক্ষতি হতো তা হলে আমরা এটা বিক্রি বা চাষ করতে নিষেধ করতাম।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *