স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি-জামায়েতের অর্থদাতা স্থানীয় দুস্কৃতিকারীদের প্রশ্রয়দাতা ফেরদৌস আলম ফিরোজের সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের আইগত ব্যবস্থার দাবিতে সংবাদ সম্মেল করেছেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজহারুল ইসলাম তালুকদার। বৃহস্পতিবার(১৬ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার এলেঙ্গা রির্সোটে -এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়েতের আগুন-সন্ত্রাস ও জঙ্গিদের মদদ ও আর্থিক সহযোগিতা করে আসছে কালিহাতী উপজেলার গান্ধিনা গ্রামের ফেরদৌস আলম ফিরোজ। তার প্রতিষ্ঠিত ফেরদৌস আলম ফিরোজ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে শুধু বিএনপি-জামায়েত শিবিরের কর্মীদের চাকুরী দিয়েছে। এবংকি তাদের দিয়ে সরকার বিরোধী কাজে করে আসছে। তার প্রতিষ্ঠানের ল্যাব সহকারী হাবিব গত ২৮ তারিখে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে আগ্নি-সন্ত্রাস ও পুলিশ হত্যা ঘটনায় জড়িত তা সিসিটিভি ফুটেজে উঠে আসায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এহেন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় গত ১৪ নভেম্বর ওই স্কুলের কোমলমতি শিশুদের দিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন। এছাড়াও ওই মানবন্ধনে কুরুচিপুর্ণ বক্তব্য দিয়ে মানসম্মানের হানী করেছেন। এমন কুরুচিপুর্ণ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় তিনি।
বীরমুক্তিযোদ্ধা বলেন,স্থানীয় সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী ওই বিএনপি-জামায়েতের অর্থদাতা লায়ন ফিরোজের প্রশ্রয়দাতা। গত ৫ বছরে সাংসদ তার বাহিনী দিয়ে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপর নির্মমভাবে মারধর ও অত্যাচার করে পঙ্গু বানিয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় সাংসদ হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী বিএনপি জামাতের ওই অর্থদাতা লায়ন ফেরদৌস আলম ফিরোজ স্কুল ও কলেজটি এমপিও ভুক্ত করতে ডিও লেটার দিয়েছেন।
সবশেষে তিনি আরো বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আমিসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী রয়েছে। কিন্তু কেউ আমার বিরুদ্ধে নয়। সবাই আমরা একত্রে কাজ করতেছি। শুধু মাত্র সংসদ সদস্য তিনিই আমার বিরোধিতা করেন। তিনি যে সবসময় বিএনপি জামাতের লোকজন নিয়ে চলাফেরা করে। সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অবগত রয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এবিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে কালিহাতী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন,ব্যক্তি রাজনীতি না করে দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন কালিহাতীতে বিএনপি-জামায়াতকে অগ্নি-সন্ত্রাস করতে দিবো না। আমরা ঐক্যেবদ্ধ হয়ে রাজপথে তাদের মোকাবেলা করবো। এছাড়াও আগামী নির্বাচনে দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে নৌকা প্রতীক দিবে, আমরা তার পক্ষে কাজ করে নৌকাকে বিজয়ী করবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নুরন্নবী সরকার,নারান্দিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাদুদ তালুকদার,পারখী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান তালুকদার তোতা, বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছোরহাব আলী, দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মোল্লা, ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনিরসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মী।
