ঢাকায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

ঢাকা দেশ জুড়ে রাজনীতি

নিউজ ডেস্ক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে আহতাবস্থায় ঢামেকে আনা হয়। তবে এখনো নিহত পুলিশ সদস্যের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর কাকারাইল ও পল্টন এলাকা। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এই পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এতে বিএনপির কর্মী ও পুলিশের অনেক সদস্য আহত হয়েছেন।

সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি কর্মীরা আওয়ামী লীগের কয়েকটি বাস ও পিকআপভ্যানে ভাঙচুরে করে বলে অভিযোগ ওঠে। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএনপি কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা তৈরি হয়। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ চলার পর একপর্যায়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এসময় পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে চাইলে বিএনপি নেতা–কর্মীরা ইটপাটকেল ছোঁড়ে।

সংঘর্ষ কাকরাইল মসজিদ থেকে পল্টন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় কাকরাইল পুলিশ বক্স ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া ভাঙচুর করা হয় কাকরাইল আওয়ামী লীগের কার্যালয়।এর আগে একই জায়গায় সকালে ২টি বাস ও কয়েকটি পিকআপে লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙচুর করে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে আসা কর্মীরা। এর আগে মৎস্য ভবন এলাকায়ও একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসব গাড়ি রমনা থেকে কাকরাইল মোড় হয়ে বায়তুল মোকাররমের দিকে যাচ্ছিল। এতে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের পোস্টার লাগানো হচ্ছিল। তবে গাড়ি ও পিকআপ কয়েকটিতে ভাঙচুর করে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

এদিকে সকাল থেকেই শাপলা চত্বরের প্রতিটি রাস্তা বেরিকেড দিয়ে রাখে পুলিশ। কিন্তু বেলা ১২টার দিকে আরামবাগ থেকে বেরিকেড ভেঙে সামনের দিকে এগোতে থাকে জামায়াত নেতা–কর্মীরা। তবে শাপলা চত্বরের কাছাকাছি তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছে তারা। এদিকে আরামবাগে পুলিশের গুলিতে নওয়াব আলী শেখ নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেছে জামায়াত। তাঁকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *