ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের মেয়ের ৭ বছর কারাদন্ড

অপরাধ আন্তর্জাতিক রাজনীতি

ইরাকের সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের মেয়েকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। নিষিদ্ধঘোষিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে কথা বলায় এবং প্রচার চালানোর দায়ে তাকে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যদিও সাদ্দাম হোসেনের এই মেয়ে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন এবং রোববার (২২ অক্টোবর) তার অনুপস্থিতিতেই এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাগদাদের একটি আদালত রোববার সাবেক ইরাকি স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের নির্বাসিত কন্যাকে তার অনুপস্থিতিতে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। মূলত তার বাবা সাদ্দাম হোসেনের নিষিদ্ধ বাথ পার্টির ‘প্রচার’ চালানোর জন্য এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক আগ্রাসনের সময় সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর তার দলটি বিলুপ্ত ও নিষিদ্ধ করা হয়। আদালতের এই রায় এএফপি পর্যালোচনা করতে সক্ষম হয়েছে। এই রায়ে বলা হয়েছে, সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে রাঘাদ সাদ্দাম হোসেনকে ২০২১ সালে টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘নিষিদ্ধ বাথ পার্টির কার্যক্রম প্রচার করার’ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। মূলত ইরাকে আজও কেউ যদি ক্ষমতাচ্যুত সাদ্দাম সরকারের ছবি প্রচার করে বা স্লোগান দেয় তবে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হতে পারে। অবশ্য ঠিক কোন সাক্ষাৎকারের কারণে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তা রায়ে উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু ২০২১ সালে রাঘাদ সাদ্দাম হোসেন সৌদি মালিকানাধীন আল-আরাবিয়া চ্যানেলে ১৯৭৯ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তার বাবার শাসনামলে ইরাকের পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলেছিলেন। সৌদি এই চ্যানেলকে সেসময় তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাকে বলেছে- (সাদ্দাম হোসেনের শাসনামল) আমাদের জন্য সত্যিই গৌরবের, গর্বের সময় ছিল। অবশ্যই, সেসময় ইরাক স্থিতিশীল এবং অনেক সমৃদ্ধ দেশ ছিল।’ এএফপি বলছে,রাঘাদ সাদ্দাম হোসেন তার বোন রানার সঙ্গে জর্ডানে থাকেন। তাদের ভাই উদয় এবং কুসে ২০০৩ সালে মসুলে মার্কিন সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়।

ইরাকিদের অনেকেই এখনও সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলকে দেশের জন্য নির্মম দমন-পীড়নের সময় হিসেবে দেখে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *