কেন বন্ধ হচ্ছেনা টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতীর এলেঙ্গা পুংলি নদীর অবৈধ বালু ব্যবসা

কালিহাতী টাঙ্গাইল জেলা দেশ জুড়ে

স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার পৌলী এলাকার পুংলি নদী হতে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধ হচ্ছেনা কোন ভাবেই । উপজেলা প্রশাসনের অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরের রাতেই মহাধূমে নদীর বালি চুরির মহোৎসব চালাচ্ছেন ! এতে করে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সুকুমার ঘোষের খুটির জোর কোথায় ?

প্রতিরাতে শতশত ট্রাক বালু চুরি করে বিক্রি করছে ওই বালু খেকো চক্র। যারফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এলেঙ্গা পৌরসভা কর্তৃক নব নির্মিত দুই কোটি পঁয়ত্রিশ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারি রাস্তা । তা হলে জন মনে প্রশ্ন এর দায় ভার তা হলে কার ।

স্থানীয়রা জানান, কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর সুকুমার ঘোষ তার বাহামভূক্ত লোকদের নিয়ে এলেঙ্গা পৌরসভার পৌলি বটতলা মোড়ে রাতের আঁধারে নদীতে ভেকু বসিয়ে নদী হতে বালু উত্তোলন করে বালু ব্যবসায়ী ফেরদৌস, সুজন,নাজিম ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুলকে দিয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড় বাশালিয়া বালুরঘাটের ৩০/৩৫ গজ দুরে কালিহাতী উপজেলার পৌলী মৌজার পুংলি নদী হতে প্রতিরাতে শতশত ট্রাক বালু চুরি করে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখলাখ টাকা ।

যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদী ও নদী পারের মানুষ।রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।অপর দিকে এলেঙ্গা পৌরসভার বাগানবাড়ী হতে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পৌলি ব্রীজ পর্যন্ত গত অর্থ বছরে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে দুই কোটি পঁয়ত্রিশ লাখ টাকা ব্যয়ে এলেঙ্গা পৌরসভা কর্তৃক নির্মিত নতুন রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঐ অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বালুবাহী ভাড়ী ট্রাক চলাচলের কারনে। ফলে হুমকীর মুখে পড়েছে নতুন রাস্তাটি। এছাড়াও রাস্তার দুইপাশে মানুষের বসবাসের ঘরবাড়ি ধুলাবালিতে হচ্ছে সয়লাব। এতে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ।

সুকুমার ঘোষ ও তার সহযোগীরা সারাদিন বালু উত্তোলন বন্ধ রাখলেও সন্ধ্যার পর রাতের আধাঁরে পুংলি নদীতীরে একাধিক ভেকু বসিয়ে ফ্ল্যাশ লাইটের ঝলমলে আলোয় নদী হতে বালু তুলে শতশত ট্রাক বালু চুরি করে বিক্রি করে প্রতি রাতে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

এলেঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর সুুকুমার ঘোষ ও তার সহযোগিরা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ী হওয়ায় এলাকার মানুষ তাদের ভয়ে প্রতিবাদ তো দুরের কথা কেউ মুখ খোলারও সাহস পায়না।

সুকুমার ঘোষ নিজেকে আড়াল করতে কালিহাতী উপজেলা প্রশাসন ও সংবাদকর্মীদের ভুুল তথ্য দিয়ে বলছেন, ” তার ঘাটের অবস্থান টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড় বাশালিয়া মৌজায় ।”যা সর্বোই মিথ্যা, তিনি প্রশাসন ও সংবাদ কর্মীদের বিভ্রান্ত করতেই এই অপকৌশল ।

সুকুমার ঘোষে বালুঘাটের বটতলায় রাতে বালু চুরির সময় কথিত বালু ব্যবসায়ী ছাড়াও তাদের একদল বখাটে যুবক অবস্থান করেন।

রাতের সেখানে দেখা যায়, ভেকুু দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে ট্রাকে। আর বালুভর্তি ট্রাক বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটে চলছে। অবৈধ বালুু ব্যবসায়ীর ও তাদের লালিত বখাটে সন্ত্রাসীরা দলবেঁধে পৌলি বটতলা মোড়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে ।

এলেঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর সুকুমার ঘোষ সাংবাদিকদের কাছে বরাবরের মতোই ওই বালু ব্যবসায় তার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন ।বালু ব্যবসায়ী ফেরদৌস জানান আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ব্যবসা করছি, তাছাড়াও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতারাও আমাদের সাথে রয়েছেন । অযথা সাংবাদিকরা আমাদের হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, প্রশাসনের ৩য় /৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা যারা কর্তাব্যক্তিদের খুব কাছাকা‌ছি থাকেন তারাই প্রশাসনিক অভিযান শুরু হওয়ার আগেই বালু ব্যবসায়ীদের কাছে সতর্ক বার্তা পৌঁছে দেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *