টাঙ্গাইলের দুটি আসনে নৌকার মনোনয়ন ফরম নিলেন কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই

কালিহাতী টাঙ্গাইল জেলা টাঙ্গাইল সদর দেশ জুড়ে
স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের দুইটি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন সাবেক ছাত্রনেতা মুরাদ সিদ্দিকী। রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসের নির্বাচনী সেল থেকে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) এবং টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি।

টাঙ্গাইলের আলোচিত সিদ্দিকী পরিবারের সন্তান মুরাদ সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী এবং সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই। মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) এবং টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কেনার খবরে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ ছেড়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। মুরাদ সিদ্দিকী তখন তার ভাই কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে দলে যোগ দেন। বিগত ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। এরপর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের রাজনীতি থেকে সরে আসেন। বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

মূলত ২০০৯ সাল থেকে মুরাদ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ২০১৫ সালে মুরাদ সিদ্দিকীর অনুসারী টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরনসহ অনেকেই আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তারা পরবর্তী সময় জেলা আওয়ামী লীগে পদ-পদবিও পান। কিন্তু মুরাদ সিদ্দিকী যোগ দিতে ব্যর্থ হন। দলে ঢুকতে না পারলেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং দলীয় কার্যালয়ে মুরাদ সিদ্দিকী নিয়মিত যাতায়াত করেন। ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রায় ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।

তবে দুইটি আসনে মনোনয়নপত্র কেনার বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ আসনের নেতারা কোনো মন্তব্য করেননি।

মুরাদ সিদ্দিকী বলেন, আমার রক্তে আওয়ামী লীগ, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। আমি শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী। রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণে। এবার দুটি আসনে দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছি। সদর আসনে রয়েছে আমার নিজস্ব ভোট ব্যাংক ও কালিহাতী আমার পৈত্রিক নিবাস। সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবেসে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। দল আমাকে যে কোনো আসন থেকে নৌকা দিলে শেখ হাসিনাকে আসনটি উপহার দেব।

এদিকে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল ও ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ। এর মধ্যে গোপালপুরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল।

এছাড়া টাঙ্গাইল সদর -৫ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য-এডভোকেট মামুন,আওয়ামী লীগের সাবেকমন্ত্রী আবদুল মান্নানের ছেলে আনিসুল মান্নান মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এবং সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *