নিউজ ডেস্ক: জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর আরামবাগ থেকে নটর ডেম কলেজ পর্যন্ত এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আরামবাগ-নটর ডেম কলেজ এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর আরামবাগ-নটর ডেম কলেজ এলাকায় আজ মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াত। জামায়াত বলেছে, তারা ঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে করবে। জামায়াতের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার ভাষ্য, তাঁরা মহাসমাবেশের মৌখিক অনুমতি পেয়েছেন।
তবে জামায়াতকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার কথা এখন পর্যন্ত জানায়নি পুলিশ। দুই দিন ধরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলে এসেছেন, জামায়াতকে ঢাকায় মহাসমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান আজ সকাল ১০টার আরামবাগ এলাকায় এসে বলেন, জামায়াতকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই জামায়াতকে মহাসমাবেশ করতে দেবে না পুলিশ। জামায়াত মহাসমাবেশ করার চেষ্টা করলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
সকাল সোয়া ১০টার দিকে আরামবাগ মোড় এলাকায় জামায়াতের বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে জড়ো হতে দেখা যায়। সেখানে তাঁরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। সকালে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখা যায়, আরামবাগ মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। আরেকটি ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে নটর ডেম কলেজের দিকে যাওয়ার পথে। এই এলাকার সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকজনকেও চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সকাল আটটার দিকে আরামবাগ মোড়ে নয়াপল্টনমুখী কয়েক শ নেতা-কর্মীর সঙ্গে পুলিশের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে এসব নেতা-কর্মীকে সেখানে জটলা না করতে বলা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বিএনপির নেতা-কর্মীদের আড়ালে জামায়াত-শিবিরের লোকজন ঢুকে পড়েছে। এখানে জামায়াতের কোনো স্থান নেই। এ সময় জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীরা পুলিশের উদ্দেশে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। একপর্যায়ে নেতা-কর্মীরা রাস্তায় বসে পড়েন। পরে তাঁদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে তুলে দেয় পুলিশ।
সকাল সোয়া আটটার দিকে আরামবাগ মোড়ে দাঙ্গা মোকাবিলার একটি গাড়ি (রায়ট কার) আনে পুলিশ। পরে আরামবাগ মোড় থেকে নটর ডেম কলেজ এলাকায় পুলিশ ঘিরে ফেলে। এ সময় এই পথে সাধারণ মানুষ চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়।