নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডেঙ্গুর হাত থেকে বাঁচতে মশা দূরে রাখতে গিয়ে দেশজুড়ে কয়েলের ব্যবহার যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে মানহীন কয়েল বিক্রি। পাড়া-মহল্লার দোকানে কম দামে মিলছে স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন-বিএসটিআই এর অনুমোদনহীন এ সব ঝুঁকিপূর্ণ কয়েল। দ্রুত মশা তাড়ায় বলে এর চাহিদা বেশি।
বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে অনুমোদনহীন কয়েলের কারখানা বন্ধ করলেও বাজারে বিক্রি কমছে না। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, এ সব মানহীন কয়েল ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এতে হতে পারে ক্যান্সারের মতো রোগ।
দেশজুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপএখনও কমেনি। ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষ। এডিস মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। তাই মশার কামড় থেকে বাঁচতে বেড়েছে কয়েলের ব্যবহার। দিন কিংবা রাত, ঘুমানোর সময় জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে কয়েল।
কিন্তু এ সব কয়েল কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে নিুমানের কয়েল। যে সবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ই›ন্সটিউশন-বিএসটিআই এর অনুমোদন নেই।
জনস্বাস্থ্যবিদরা জানালেন, কয়েল তৈরীতে ব্যবহার করা হয়, পারমেথ্রিন, বায়ো এ্যালোথ্রিন, ট্রেট্রাথিন ও ইমিপোথ্রিনের মত রাসায়নিক।
এ সবের অতিরিক্ত ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, যেসব কয়েলে দ্রুত মশা দূর হয় ও দাম কম সেসবের চাহিদা বেশি। স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি বিক্রেতা কিংবা ক্রেতা তেমন একটা জানেন না।
দেশের বিভিন্ন স্থানেই তৈরি হচ্ছে এসব নিুমানের ও নকল মশার কয়েল। বিষয়টি নজরে রয়েছে বলে জানালেন, বিএসটিআই এর উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক।
প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেসব কারখানা বন্ধে একের পর এক অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানালেনপ্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালো জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকএ এইচ এম শফিকুজ্জামান।
টি নি/অ