কালিহাতীতে ধর্ষণের শিকার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী

188

কালিহাতী সংবাদদাতা ॥
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। কালিহাতী উপজেলার সরাতৈল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষক কালিহাতী উপজেলার গহালিয়া বাড়ি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সরাতৈল গ্রামের সালাম মিয়ার ছেলে ইউসুফ (২৪)। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই ছাত্রীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কালিহাতী থানায় মামলা হয়েছে।
পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১২ ডিসেম্বর) ওই ছাত্রী তার খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে। বিকেলে ওই ছাত্রী পাশের বাড়িতে বেড়াতে গেলে ইউসুফ জোড়পূর্বক হাত ধরে ওই মেয়েকে ঘরে নিয়ে যায়। পরে মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ইউসুফ মিয়া ছাত্রীটিকে বিভিন্ন ভয়ও দেখায়, ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য। পরে ছাত্রীটি কান্না করতে করতে খালার বাসায় যায়। কান্নার বিষয়টি খালা জানতে চাইলে সব ঘটনা খুলে বলে। রাতে পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই ছাত্রীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি জানতে চাইলে ছাত্রী বলেন, জোড় করে ইউসুফের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমার ক্ষতি করেছে।
ওই ছাত্রীর বাবা টিনিউজকে বলেন, আমি ঢাকায় চাকুরী করি। ঘটনার দিন আমি ঢাকাই ছিলাম। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে টাঙ্গাইল এসেছি। আমি ওই ইউসুফের ফাঁসি দাবি করছি। ওই ছাত্রীর খালা টিনিউজকে বলেন, ওর মা মারা গিয়েছে কয়েক বছর আগে। তারপর থেকে আমার বাসায় মাঝে মাঝে আসতো। গত বুধবার (১২ ডিসেম্বর) আমার প্রতিবেশি ইউসুফ মিয়া এতো বড় ধরনের ক্ষতি করবে আমি কখনও কল্পনাও করি নাই। হাসপাতাল থেকে কাগজপত্র তুলে ওই ইউসুফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবো। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এই বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন শুরু হয়েছে। মেয়ের খালার বাসায় যাওয়ার পর আশেপাশের লোকজন আসতে থাকে।
একাধিক ব্যক্তি বলেন, ইউসুফ মিয়ার আগে থেকেই চরিত্র ভাল না। এ ঘটনার বিষয়ে ওই এলাকার আওলাদ হোসেন বলেন, এতিম মেয়েটি এতো বড় ক্ষতি করা ঠিক হয়নি। আমি ওই ছেলের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি। একই এলাকার জুলেখা বেগম বলেন, ইউসুফ এর আগে আরও কয়েকজনের ক্ষতি করেছে ও বেশ কয়েকজনের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। তাকে দেখলে আমরা ভয়ে থাকি। এতিম মেয়েটির যে ক্ষতি করেছে তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। যাতে করে এরপর কোন অপরাধী এমন অপরাধ করতে না চায়।
তবে এই অভিযোগটি মেনে নেয়নি ইউসুফ মিয়া। তিনি বলেন, আমার নামে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা। বরং আমাকে ও আমার মাসহ পরিবারের সদস্যকে মারধর করেছে ওই ছাত্রীর খালার পরিবার।
এ ব্যাপারে কালিহাতী উপজেলার ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শরিফ উদ্দিন টিনিউজকে বলেন, ঘটনাটি শোনার পর রাতেই পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছি। না পেরে বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন টিনিউজকে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।