১৬ মাস ধরে পলাতক এমপি রানাকে বহিস্কার দাবি ঘাটাইল আওয়ামী লীগের
আতিকুর রহমান, ঘাটাইলঃ
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যার তিন বছর হয়েছে গত ১৮ জানুয়ারি। তার হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বহিস্কারের দাবীতে জেলা ও ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ প্রতিবাদ মিছিল ও সভা সমাবেশ করে আসছে।
ডিবি পুলিশ জানায়, বিগত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারিতে শহরের কলেজপাড়া এলাকায় নিজ বাসার কাছে এই প্রভাবশালীর নেতার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবিতে দেয়া হয়। গত ২০১৪ সালের আগষ্ট মাসে এই হত্যার জড়িত থাকার অভিযোগে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দু‘জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই হত্যাকান্ডে টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনে সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা এবং তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা জড়িত থাকায় উল্লেখ্য করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দি দেন। এরপর থেকে টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাই গত ১৬ মাস ধরে পলাতক রয়েছে। তার এই পলাতক থাকার কারনে নিজ আসনে আওয়ামী লীগের যুবলীগ, ছাত্রলীগের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে তারা বহিস্কারের দাবি তুলেন। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঘাটাইল উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা আবু সাঈদ রুবেল বলেন, এমপি রানা গত ১৬ মাস ধরে পলাতক। তার এই দীর্ঘ সময় পলাতক থাকায় উপজেলার ছাত্রলীগ তাকে অবঞ্চিত ঘোষনা করেছি এবং সেই সাথে আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিস্কার দাবী জানাই।
এই বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের নেতা মাহ্বুব আলম তপন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যায় জড়িতদের ধরে বিচার দাবী জানাই। তেমনি এমপি রানাকে দল থেকে বহিস্কার করে নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে ঘাটাইলবাসীকে কলঙ্কমুক্ত করা হোক।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহব্বায়ক শহিদুল ইসলাম খান লেবু বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যার জড়িত এমপি রানা গত ১৬ মাস ধরে এলাকা ছাড়া। তার এই পলাতক থাকার কারনে ঘাটাইলবাসী যেমন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তেমনি ঘাটাইল আওয়ামী লীগের সকলের মাঝে তার প্রতি চরম ক্ষোভের সৃষ্টির হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তাকে দল থেকে অচিরেই বহিস্কার করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট নিবেদন করেন।