সখীপুরে ফাইলা পাগলার মেলায় জেএমবির বোমা হামলার ১৩ বছর
টাঙ্গাইলের সখীপুরের দাড়িয়াপুর পাহাড়ে বুধবার থেকে ১০ দিনব্যাপী ফাইলা পাগলার মেলা শুরু হয়েছে। গত ১৩ বছর আগে ২০০৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে ওই মেলায় পরপর দু’টি শক্তিশালী বোমা হামলায় ৮জন নিহত হয়েছিল। জেএমবি ওই হামলার দায় স্বীকার করায় প্রতিবছর মেলায় পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে।
মেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন জানান, বিগত ১৯৬০ সাল থেকে সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর পাহাড়ে ফালুচান শাহ ওরফে ফাইলা পাগলার মাজারকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর মাঘী পূর্ণিমায় এ মেলা হয়ে থাকে। বিগত ২০০৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত পৌনে ৯টার সময় মাজারে পরপর দু’টি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে মাজারের খাদেম আবদুল গণিসহ ৮জন নিহত ও ১৫ জন আহত হন। ওই ঘটনায় নিহত আবদুল গণির ছেলে মজনু মিয়া বাদী হয়ে ওই গ্রামের ছানোয়ার হোসেনসহ ১১ জনকে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। বিগত ২০০৮ সালে জেএমবি (জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ) ওই বোমা হামলার দায় স্বীকার করলে মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হয়।
মজনু মিয়া বিদেশ থাকায় তাঁর ভাই মফিজ মিয়া জানান, গত ২০০৩ সালের দিকে জেএমবি’র অস্তিত্ব সারা দেশে প্রকাশ না পাওয়ায় মাজারের জমি নিয়ে দাড়িয়াপুর গ্রামের ছানোয়ারের সঙ্গে বিরোধ থাকায় ওই সময় তাঁকে সন্দেহ করে আসামি করা হয়।
উচ্চ আদালত থেকে খালাস পাওয়া ছানোয়ার হোসেন বলেন, ওই মিথ্যা মামলায় আমরা আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তিনি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, এবার মেলায় নিরাপত্তা বাড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।