সখীপুরে প্রধান শিক্ষক পদায়ন কর্মস্থল নির্ণয়ে অনিয়মের অভিযোগ

148

মোস্তফা কামাল, সখীপুর ॥
টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষকদের (চলতি দায়িত্ব) পদায়নের ক্ষেত্রে নিজ গ্রামে পদশূণ্য থাকার পরেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্যত্র পদায়ন করার একাধিক অভিযোগ ওঠেছে। গত (২১ জুন) ওই শিক্ষকদের চাহিদাকৃত বিদ্যালয়ে পদায়নের ব্যাপারে সখীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত শিকদার ও স্থানীয় এমপি অনুপম শাহজাহান জয়ের সুপারিশক্রমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এমপি ওই সকল শিক্ষকদের চাহিদাকৃত বিদ্যালয়ে পদায়নের ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক কর্মকর্তা আব্দুল আজিজকে নির্দেশনা দেন। কিন্তু তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিময়ে নিজ গ্রামের বিদ্যালয়ের পদশূণ্য থাকলেও তাদেরকে ১৭-১৮ কিলোমিটার দূরত্বে অন্যত্র পদায়ন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, পদায়নকৃত উপজেলার কাকার্থা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আনজুমান আরাকে তাঁর এলাকার রকিব নগর আবাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রতীমাবংকী উত্তরপাড়া (২) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদায়ন না করে ১৮ কিলোমিটার দূরে কালিয়া ইউনিয়নের বানিয়ারছিট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। একইভাবে শিরিরচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা তাহমিনাকে তাঁর নিজ এলাকার জামালহাটকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পদায়ন না করে তাকে ১৬ কিলোমিটার দূরে কাকড়াজান ইউনিয়নের ঢনঢনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নবাব আলীকে একই এলাকার বেড়বাড়ী খন্দকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদশূণ্য থাকলেও ৪০ কিলোমিটার দূরে বড় হামিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাকে পদায়ন করা হয়েছে। চারিবাঈদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জান্নাত আরা লাভলীকে নিজ এলাকায় দারিপাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদশূণ্য থাকলেও তাকে ৩০ কিলোমিটার বাঈটকা নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী শিক্ষক তাহমিনা ও জান্নাত আরা লাভলী টিনিউজকে বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপনে মহিলাদের নিজ নিজ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদায়ন করার নির্দেশনা থাকলেও আমাদের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। প্রতিদিন কাদাযুক্ত রাস্তায় যানবাহন না থাকায় আমাকে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বিভাগীয় উপ-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা ঢাকা বিভাগ (ঢাকা) ইন্দু ভুষন দেব টিনিউজকে বলেন, টাঙ্গাইল জেলার সকল উপজেলার শিক্ষকদের চলতি দায়িত্ব প্রদানের কাজ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারই করে থাকেন। তবে কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।