টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার বিচার সালিস বৈঠকে করা হয়েছে। মাতব্বরেরা ধর্ষণের অপরাধে এক যুবককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং তাঁকে জুতাপেটা করেছেন। অথচ প্রচলিত আইনে এভাবে বিচার করার উপায় নেই।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা আদালতের আইনজীবী ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জেলা সাধারণ সম্পাদক বলেন, ধর্ষণের অপরাধ কোনোক্রমেই সালিসে আপসযোগ্য নয়। মেয়ের বাবার অভিযোগ, তিনি মামলা করতে গেলে এলাকার মাতব্বর ও কাঁকড়াজান ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি তাঁকে থানায় যেতে বাধা দেন।
উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়নে গত শনিবার এ সালিস বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক শাজাহান সাজু, কাঁকড়াজান ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি ফজলুল হক ও ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য মোজাম্মেল হকসহ কয়েক শ লোক উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেশীরা বলেন, গত সোমবার ১১ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধীকে তার প্রতিবেশী (৪৫) পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ওই ব্যক্তি চলে যান। পরে মেয়ের বাবা সখীপুর থানায় মামলা করতে গেলে এলাকার মাতব্বর ও কৃষক লীগের ফজলুল হক তাঁকে ফিরিয়ে এনে এলাকায় সালিস বৈঠকে সমাধানের আশ্বাস দেন। সেই মোতাবেক বেলা ১১টায় একটি বিদ্যালয় মাঠে সালিস ডাকা হয়। এতে ওই ব্যক্তিকে জুতা দিয়ে ১০১ বার আঘাত করা হয় এবং তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে মেয়ের বাবা ওই টাকা নেননি। ওই সালিসের প্রধান মাতব্বর ফজলুল হক বলেন, থানায় গেলে বাদীপক্ষ বিচার পেত না। কিন্তু এলাকায় উপযুক্ত বিচার পেয়েছে।
সখীপুর থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ধর্ষণের বিষয়ে তাঁর কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।