সখীপুরে কে হচ্ছেন পৌর পিতা
টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌর নির্বাচনে শেষ মুর্হুতে জোর প্রচারণায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা দিন-রাত বিরামহীনভাবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই মাইকের শব্দে কান ঝালা-পালা হয়ে যাচ্ছে পৌরবাসীর। ইতোমধ্যেই পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌরসভার অলিগলি।
সখীপুর পৌরসভার বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় সরগরম পুরো পৌরসভা। অটোরিকশা, ইজিবাইক, ভ্যান ও রিকশায় মাইক বেঁধে চালাচ্ছেন প্রচারণা। প্রার্থীরাও নানা উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন পৌরবাসীকে। শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে প্রার্থীরা মার্কা সংবলিত পোস্টার নিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন, চলছে উঠান বৈঠকও। আর প্রার্থীদের চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন ভোটাররা।
সখীপুরে কে হচ্ছেন পৌর পিতা? কেউ কেউ বলছেন, স্থানীয় এমপি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ দলীয়। পৌরসভার উন্নয়ন হতে হলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করা প্রয়োজন। আবার কেউ কেউ এর উল্টোটা বলছেন। তবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। এদিকে সারা দেশে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ পৌর নির্বাচন বর্জন করলেও দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তমের নির্বাচনী এলাকা সখীপুরে চলছে এর ভিন্ন চিত্র। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভোটাররাই হতে পারে মেয়র পদে জয়-পরাজয় নির্ধারণের কারণ এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা। মেয়র প্রার্থীরা ওই দলের ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ ও বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক জনতা লীগ নেতা সানোয়ার হোসেন সজীবের নেতাকর্মীরাই জনতা লীগের ভোটারদের কাছে টানার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে গোটা পৌর শহর জুড়ে। সখীপুর পৌরসভায় এখন ৪ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান মেয়র আবু হানিফ আজাদ (নৌকা), বিএনপির বিদ্রোহী ও সাবেক পৌর মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব (জগ), বিএনপি মনোনীত দলটির জেলা কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির (এ) আয়নাল হক শিকদার (লাঙ্গল)।
সখীপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর ৩১ জন, আর ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পৌরসভায় মোট ১৯ হাজার ৫৭১ জন ভোটার, এর মধ্যে মহিলা ভোটার সংখ্যা ১০০৭৯ জন, পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৯৪৯২ জন। মোট ভোট কেন্দ্র হলো ৯টি।