যমুনার দুর্গম চরে বন্যা কবলিত দুঃস্থ পরিবার পেল চাল সহায়তা

68

স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে দফায় দফায় পানি বৃদ্ধিতে দিশেহরা চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ। এরফলে খাদ্য সংকটে খেটে-খাওয়া অনেক পরিবারের মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। ইতোমধ্যে উপজেলার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। এসব দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন। তিনি পরিদর্শন করছেন বন্যা কবলিত এলাকা।




রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল জেলা ত্রাণ তহবিল থেকে দিনব্যাপী উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের রুলীপাড়া, মেঘারপটল ও অর্জুনা ইউনিয়নের রামাইল, বাসুদেবকোল, রেহাইগাবসারাসহ বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে প্রায় এক হাজার দুঃস্থ ও ভাঙন কবিলতদের মাঝে সরকারি বরাদ্দকৃত ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। খাদ্য সামগ্রী চাল পেয়ে মেঘার পটল গ্রামের জামিলা বেগম বলেন, কয়েকদিন ধরে বন্যার পানি বাড়িতে উঠেছে। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। পানিবন্দি অবস্থায় ঘরে খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় ইউএনও স্যার আমাদের চাল দিয়েছেন। বন্যা মৌসুমে চাল পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে।




বাসুদেবকোল গ্রামের রহিজ উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন বলেন, দু’দিনের বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। কাজকর্ম নেই। মানবেতর জীবনযাপন করছি। চরাঞ্চলের ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় কামলাও নিচ্ছে না কেউ। হাতে তেমন টাকা-পয়সাও নেই। চাল উপহার পেয়ে সপ্তাহ চলে যাবে। ইউএনও স্যারে প্রয়োজনে আরও দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। চাল খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম শাপলা, অর্জুন ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান খান মাহবুব, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ্ আলম প্রামাণিক, দপ্তর সম্পাদক ফরমান শেখ ও সদস্য তৌফিকুর রহমান প্রমুখ।




উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, প্রতি বছরই বন্যা মৌসুমে উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা ও নিকরাইল চরাঞ্চলের অনেক পরিবার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করে থাকে। তাদের কষ্ট লাঘবে জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম স্যারের নির্দেশনায় দুঃস্থদের মাঝে প্রায় এক হাজার পরিবারের মাঝে সরকারি বরাদ্দকৃত চাল সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য প্রদানসহ অন্যান্য সহায়তা কার্যক্রম চলমান থাকবে।