মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনা গলায় ফাঁস ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীসহ ৫ জন নিহত
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সোমবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে নয়টার দিকে মির্জাপুর বাইপাসের মা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কাছে অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ টিনিউজকে জানায়, মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ভোর রাতের দিকে পাকুল্যা এলাকায় সনাতন ধর্মাবল্বি অজ্ঞাত পরিচয় (৬০) ওই নারীকে অজ্ঞাতনাম একটি গাড়ী চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশ জানিয়েছেন। অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভোর পাঁচটার দিকে। মহাসড়ক পারাপারের সময় রুবেল মিয়া (২৭) নামে ওই যুবককে অজ্ঞাত যানবাহন চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনিও নিহত হয়। সে জামুর্কী ইউনিয়নের জামুর্কী গ্রামের নবীন মিয়ার ছেলে।
এদিকে সোমবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে নয়টার দিকে মির্জাপুর বাইপাসের মা সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকায় লাবলু মিয়া (২৭) নামে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। লাবলু মিয়া গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার আমবাড়িয়া ফারুক মন্ডলের ছেলে। মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা টুটুল টিনিউজকে জানান, ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ও বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ভোরে উপজেলার পাকুল্যা গ্রামে বাড়ির পাশে কাজী আসাদুজ্জামান শফি (৭০) নামের এক পত্রিকা এজেন্ট গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। জানা গেছে, কাজী আসাদুজ্জামান শফি ব্যাক্তিগত জীবনে অবিবাহিত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পাকুল্যা এলাকায় পত্রিকার এজেন্টের ব্যবসা করেছেন। বয়সের কারণে গত কয়েক বছর যাবৎ তিনি ব্যবসা বাদ দিয়ে বাড়িতেই থাকতেন। আসাদুজ্জামান শফির ছোট বোন শাহানা বেগম ও বোন জামাই ফাক্কন টিনিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি প্রোস্ট্রেট গ্যান্ডে আক্রান্ত হয়ে অসহ্য যন্ত্রনায় ভোগছিলেন। যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে সকলের অজান্তে ভোরে বাড়ির পাশে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
অপরদিকে সোমবার (২১ আগস্ট) জুয়েল হোসেন (২৮) নামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের করড়া গ্রামে সোনা মিয়ার ছেলে। পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে বাড়ি থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে উয়ার্শী ইউনিয়নের মৈশামূড়া গ্রামে যান। সেখানে বিদ্যুতের কাজ করার সময় স্পৃষ্ট হয়ে তিনি আহত হন। উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে টিনিউজকে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।