মির্জাপুরে কিশোরদলের হামলায় আহত হৃদয় দাসের মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুর ॥
বখাটে ও কিশোরদলের সদস্যদের হামলার শিকার হৃদয় দাস (১৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন। গত সোমবার (১০ জুন) সন্ধায় কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হৃদয় দাসের বাবা শ্রী সেতু দাস বুধবার দুপুরে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনের নামে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আনাইতারা ইউনিয়নের আনাইতারা গ্রামের শ্রী সেতু দাসের ছেলে হৃদয় দাস গত ৯ জুন বিকেল তিনটার দিকে বাড়ি হতে মোটরসাইকেলযোগে নগর ভাতগ্রাম নায়েব বাড়ির কাছে পৌছালে ওয়ার্শী ইউনিয়নের মৈশামূড়া গ্রামের সোহরাব মিয়ার ছেলে বখাটে বাবুল মিয়া মোটরসাইকেল নিয়ে পেছন দিক থেকে হৃদয়ের মোটরসাইকেলে ধাক্কা মারে। এতে হৃদয় মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। পরে বাবুল তার দুই ছেলে কিশোর দলের সদস্য কবির হোসেন ও শামীমকে খবর দেয়। তারা তার সহযোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হৃদয়ের ওপর হামলা চালায়। তারা রড দিয়ে পিটিয়ে হৃদয়কে গুরুতর আহত এবং মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এ সময় তারা হৃদয়ের পকেটে থাকা ৩ হাজার টাকা ও ১৭ হাজার টাকার একটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। হৃদয়ের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিসাধীন অবস্থায় ১০ জুন সন্ধায় তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে হৃদয়ের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসনিা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
হৃদয়ের বাবা শ্রী সেতু দাস প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের জানান, বখাটে বাবুল আমার ছেলেকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে আহত করে। পরে সে তার দুই ছেলে কিশোর দলের সদস্য এবং তাদের সহযোগিরা প্রকাশ্য আমার ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সোমবার সন্ধায় কুমুদিনী হাসপাতালে ছেলের মৃত্যু হয়। বুধবার দুপুরে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫-৬জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান।
মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, সুরতহাল শেষে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ময়না তদন্ত রিপোর্ট এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।