বাসাইলে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের উদ্যোগে নৌ-পাঠচক্র
স্টাফ রিপোর্টার ॥
যৌথভাবে জ্ঞান চর্চার নাম পাঠচক্র। এই চর্চা বহু প্রাচীন। সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতি এমন সব বিষয়ের জটিল ও তাত্ত্বিক দিকগুলোকে যৌথভাবে বিচার বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে সঠিক ধারনায় পৌঁছানোর সহজ জায়গা হচ্ছে পাঠচক্র।
রোববার (২ জুলাই) দুপুরে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের আয়োজনে ভ্রাম্যমাণ নৌ-পাঠচক্রের আয়োজন করা হয়। টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বাসুলিয়ায় চাপড়া বিলে ভাসমান নৌকায় আয়োজিত পাঠচক্রে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ বই নিয়ে আলোচনা হয়। বইটিতে উঠে এসেছে কুমুরডাঙ্গা জীবনের ইতিহাস, বাঁকাল নদী মরে যাওয়ার ফলে বা নদীতে চর জেগে ওঠার ফলে বস্তুগত জীবনের ক্ষয়ক্ষতির ইতিহাস, সেই সঙ্গে উঠে আসে নানা বৃত্তির নর-নারীর জীবনের বিশ্বাস, সংস্কার, দ্বন্দ, ধীরে ধীরে হতাশা থেকে প্রত্যাশায় উত্তরণেরও ইতিহাস।
বাতিঘর আদর্শ পাঠগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান সোহাগের সঞ্চালনায় উক্ত পাঠচক্রে অংশ নেন বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের সদস্য সুমন খান, শাকিল আহমেদ, হাবিবুর রহমান, মাসুম, নাসির প্রমুখ।
এ সময় বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের সদস্য সুমন খান বলেন, পাঠচক্রের সুবিধা হচ্ছে প্রত্যেকের শিক্ষনীয় জ্ঞান ও ভাবনার বিষয় সকলের সঙ্গে সহজেই আদান প্রদান করা যায়। পাঠচক্রে অংশগ্রহণের ফলে অনেকের বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হবে।
পাঠচক্র শেষে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, এটি আমার জীবনে অংশ গ্রহণ করা প্রথম পাঠচক্র। পাঠচক্রের মাধ্যমে অনেক না জানা তথ্য জানতে পেরেছি। আশা করছি ভবিষ্যতে এ ধরনের পাঠচক্র আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
বাতিঘর আদর্শ পাঠগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, আমরা শিক্ষার্থী ও জনসাধরণকে বই পাঠে উদ্বুদ্ধ করতে নিয়মিত পাঠচক্র, বই পাঠ প্রতিযোগিতা, বিনামূল্যে বই বিতরণ, অপেক্ষমাণদের জন্য অণু-পাঠাগার কার্যক্রমসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, ‘এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি’ স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণু-পাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।