বাসাইলের দুই ওয়ার্ডে রাস্তার কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার ৫,৯ নং ওয়ার্ডে ২০২১-২২ অর্থবছরের টিআর কর্মসূচীর ২টি প্রকল্পের গ্রামীণ রাস্তা সংস্কারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, বাসাইল পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের ২০২১-২২ অর্থবছরে টিআর কর্মসূচীর আওতায় অবকাঠামো উন্নয়নে বালিনা বাবু মন্ডলের বাড়ির উত্তর পাশ হতে সফিক মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা মেরামতের জন্য ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় এবং ৯নং ওয়ার্ডের বাসাইল নলুয়া রাস্তা হতে বিকাশের বাড়ি পর্যন্ত মাটি ভরাট ও তালগাছ রোপনের জন্য ৪৮ হাজার টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়। এই টাকা উত্তোলন করা হলেও সরেজমিনে কোনো ধরনের কাজ না করে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে ৫নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম ও ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এইচ এম এরশাদ আলমের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উঠেছে, এই রাস্তার কাজে কোনো টাকা ব্যয় করা হয়নি। এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন, বাসাইল পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এইচ এম এরশাদ আলম সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ব্যাপারে বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, কেউ কোনো টাকাও দেয় নাই, তালগাছও রোপন করে নাই। আমাদের নিজস্ব টাকা দিয়ে নিজেরাই মাটি ভরাট করেছি। এই রাস্তার মাটি ভরাটের জন্য দেড় লাখ টাকার মতো লেগেছে। সরকারি কোনো অনুদান পাইনি। বিকাশের বাবা নিবারণ চন্দ্র সরকার বলেন, আমার নিজের রাস্তা নিজের টাকা দিয়েই করছি। এই রাস্তার জন্য সরকারি কোন অনুদান পাইনি, কেউ কোনো টাকা দেয় নাই। এ ব্যাপারে সফিক মিয়া বলেন, গত পাঁচ বছরে এই রাস্তায় কোন মাটি তো দূরের কথা এক চিমটি বালিও পরে নাই। স্থানীয় বাসিন্দা উমর আলী বলেন, বালিনা বাবু মন্ডলের বাড়ির উত্তর পাশ হতে সফিক মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় ৪-৫ বছরে এক কোদাল মাটিও পরে নাই। প্রতিনিয়ত এই রাস্তা দিয়েই আমি বাজারে যায়।
প্রকল্পের সভাপতি ৯নং ওয়াডের কাউন্সিলর এইচ এম এরশাদ আলম মুঠোফোনে বলেন, আমি আপনার সাথে সরাসরি কথা বলবো। এই বলে ফোন কেটে দেন।
প্রকল্পের সভাপতি ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, বন্যার আগে মাটি দিয়ে রাস্তা মেরামত করেছিলাম, পানিতে সব ধুয়ে গেছে। টিআরের কাজ তো আর সব হয় না, আপনারা তো বুঝেন।
এ ব্যাপারে বাসাইল পৌরসভার মেয়র আব্দুর রহিম আহমেদ বলেন, ৫, ৯নং ওয়ার্ডে টিআর প্রকল্পের কাজের সভাপতি ও দুই কাউন্সিল সাইফুল ও এরশাদ। ওরা দুইজন বলতে পারবে মাটি কতটুকু ফেলছে। পৌরসভা ওইভাবে প্রকল্পের কাজগুলো দেখে না। টিআর প্রকল্পের কাজগুলো দেখে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। প্রকল্পের লেনদেন কাজ বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব হলো উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের।
এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।