প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন বিষয়ের বই পৌছেনি দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর কাছে
ফাহাদ শাওনঃ
টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে নতুন বছরের এক মাস অতিক্রান্ত হলেও টাঙ্গাইলে তিন উপজেলার দুইশ’ ৭৯টি বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর কাছে এখনও বই পৌছেনি। বই না পাওয়ায় কমলমতি এসব শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। সঠিক সময়ে বই না পাওয়ায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে অভিভাবকদের মাঝেও।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, জেলার ১২টি উপজেলায় এক হাজার পাঁচশ’ ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জানুয়ারির প্রথম দিনেই বই বিতরণ করা শুরু হয়। শুধু টাঙ্গাইল সদর, ভুঞাপুর ও মধুপুর উপজেলা দুইশ’ ৭৯টি বিদ্যালয়ে প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর হাতে মাত্র তিনটি করে বই পৌছেছে। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ১৬২টি, ভুঞাপুরে ১০৮টি ও মধুপুরে ১০৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র বাংলা, অংক ও ইংরেজি বই দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞান, পরিবেশ পরিচিতি সমাজ ও ইসলাম শিক্ষা বই এক মাস অতিবাহীত হলেও বিদ্যালয়গুলোতে পৌছায়নি। নির্ধারিত সময়ে বই না পাওয়ায় কমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের সিলেবাস শেষ করতে পারবে না বলে আশংকা করা হচ্ছে।
স্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রুবেল জানায়, স্কুল থেকে মাত্র তিনটি বই দিয়েছে। প্রতিদিনই তাদের বই দেয়ার কথা বলে স্যাররা তাদের ঘুরাচ্ছে। সদর উপজেলার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক রবিউল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক মাস হলো বই নেই। শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই। টাউন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাইয়ার জাহান বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের চেষ্টার ঘাটতি নেই। বই যেখানে ছাপানো হয় সেখানেও কথা বলেছি। ছাপাখানা বই সরবরাহ না করায় শিক্ষার্থীদের বই দেয়া সম্ভব হয়নি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনামুল হক বলেন, আমি ও জেলা প্রশাসক এ ব্যাপারে মন্ত্রনালয়ে আলাদা চিঠি দিয়েছি। বই দ্রুতই চলে আসবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বই না পাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টির খোঁজ খবর নিচ্ছি বলে তিনি জানান।