ধনবাড়ী প্রতিনিধি ॥
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে চিকিৎসার নামে ভন্ডপীর আব্দুল মজিদের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে জনৈক নববধূ (২০)। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও চাঞ্চ্যল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে ধনবাড়ী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই নববধূকে উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ভন্ডপীরের ছেলে শাহাদত হোসেনকে (৩০) আটক করেছে। তবে এ ঘটনার ধর্ষক ভন্ডপীর আব্দুল মজিদ (৫০) পলাতক রয়েছে।
ধনবাড়ী থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পৌরসভার হবিপুর গ্রামের সম্প্রতি বিয়ে হওয়া জনৈক নববধূকে (২০) পাশের বাড়ীর ভন্ডপীর আব্দুল মজিদ ভূইঁয়া (৫০) চিকিৎসার নামে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি ওই নববধূ প্রথম দিকে লোকলজ্জার ভয়ে চেপে গেলেও পরবর্তীতে তার স্বামী ও শাশুড়িকে গোপনে জানায়। এরপর ধর্ষণের ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রভাবশালী ভন্ডপীর আব্দুল মজিদ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে। এভাবে এলাকায় ঘটনাটি ব্যাপকভাবে জানাজানি হলে খবর পেয়ে ধনবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) খান হাসান মোস্তফা মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে অভিযান চালিয়ে ওই নববধূকে উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পীরের ছেলে শাহাদত হোসেনকে (৩০) আটক করে থানায় নিয়ে যান।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ধনবাড়ী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে টিনিউজকে বলেন, বিষয়টি আপোষযোগ্য না হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) খান হাসান মোস্তফা টিনিউজকে জানান, খবর পাওয়ার সাথে সাথে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং জিজ্ঞসাবাদের জন্য ভন্ডপীরের ছেলেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার খলনায়ক পলাতক ওই ভন্ডপীর আব্দুল মজিদকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
