স্টাফ রিপোর্টার \
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যু বার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও গণভোজের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক রাশেদ আলী খানের উদ্যোগে ভুরভুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ আলী খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আহসানুল হক সুমন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনে আরা বেগম, আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন আজাদ, পাথরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাম প্রসাদ সরকার, আটিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম মল্লিক। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন আটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ কান্ত দে সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য টিটু বলেন, আমি অর্থনীতির ছাত্র, আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না, বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলে ১৯৭৪-৭৫ সালে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী অর্থনীতিতে প্রবৃত্তি অর্জন করেছিলো। আজকে যদি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতো, তবে অনেক আগেই তিনি বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রুপান্তরিত করতেন। তাই ১৫ ই আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিনত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশকে র্স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের আরেকবার ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন। তাই প্রতিটি নেতাকর্মীকে ভেদাভেদ ভুলে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহর করার যে ঘোষনা দিয়েছিলেন যদি কোভিট না হতো তাহলে এতদিনে সত্যিই গ্রাম শহরে রুপান্তরিত হতো। বঙ্গবন্ধুর আতœা তখনি শান্তি পাবে যখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়িত করতে পারবো।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার ও ১৫ আগস্টে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিতি নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে রান্না করা খাদ্য বিতরণ করা হয়।