দাদার মরদেহ দেখা হলো না কুমুদিনী মেডিকেল কলেজের নেপালী ছাত্রীর

186

স্টাফ রিপোর্টার, মির্জাপুরঃ দাদার মরদেহ দেখা হলো না কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের নেপালী ছাত্রী শ্রেয়া ঝা’র। সোমবার (১২মার্চ) দুপুরে নেপালে বিমান দূর্ঘটনায় তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। সে নেপালের মাহোত্রারী সানফা-৩ এলাকার বাসিন্দা। তার পিতার নাম লাকসমান ঝা ও মাতার নাম মাধুরী ঝা। তিনি কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার রোল নং ১০৫।
কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অফিস ইনচার্জ রতন সরকার জানান, শ্রেয়া ঝা’র দাদার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মৃতদেহ দেখার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ তার ছুটি মঞ্জুর করলে সোমবার (১২মার্চ) সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমানে নেপালের উদ্দেশ্যে রওনা হন। দুপুর আড়াইটার দিকে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিমানটি দুর্ঘটনায় পতিত হলে অন্যদের সঙ্গে তারও মৃত্যু হয়।
এ খবরটি গভীর রাতে কুমুদিনী কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়ার পর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। বর্তমানে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ৪২জন নেপালী ছাত্রী লেখাপড়া করছেন। এরমধ্যে ৬ জন শ্রেয়ার ক্লাসমেট রয়েছেন বলে জানা গেছে।
কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. আব্দুল হালিমের সঙ্গে কথা হলে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, এরকম মৃত্যু কারও কাম্য হতে পারে না। শ্রেয়া ঝা’র মৃত্যুতে বুধবার বেলা বারোটায় কলেজ ক্যাম্পাসে প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ্য করেন।