দরিদ্র মেধাবী রূপার পাশে মির্জাপুরের ইউএনও ইসরাত সাদমীন

185

মির্জাপুর প্রতিনিধি ॥
গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া দরিদ্র পরিবারের সন্তান রুপা আক্তারের পাশে দাঁড়ালেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন। সোমবার (২৯ মে) দুপুরে রুপার হাতে নির্বাহী কর্মকর্তা ৫ হাজার টাকা তুলে দেন। রুপা উপজেলার গেড়ামারা গোহাইলবাড়ী সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পরীক্ষায় এবছর গোল্ডেন জিপিএ-৫ পায়। তার এই সফলতায় বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন ও শিক্ষকসহ সবাই খুশি। অর্থের অভাবে রূপার লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। প্রকাশিত সংবাদ মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীনের নজরে আসলে সোমবার (২৯ মে) দুপুরে উপজেলার নিজ কার্যালয়ে রূপা ও তার মা কমলা বেগমের হাতে ৫ হাজার টাকা তুলে দেন। তাছাড়া রূপার লেখাপড়ার জন্য সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
রূপার মা কমলা বেগম টিনিউজকে বলেন, মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করাতে চাই। কিন্তু কিভাবে করাবো বুঝতে পারছি না। রূপার বাবা লিয়াকত আলী স্থানীয় ইটভাটায় দিনমজুরের কাজ করেন। পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৮ জন। তাছাড়া বর্ষাকালে বাবা লিয়াকত আলী ফেরি করে বিভিন্ন খেলনা বিক্রির মাধ্যমে কোন রকম সংসার চালান। চার বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে রূপা দ্বিতীয়। বড় বোন স্বামী পরিত্যক্ত। ছোট ভাই বোন স্কুলে পড়াশোনা করেন। বাবার পক্ষে রূপার লেখাপড়ার খরচ বহন করা সম্ভব না হওয়ায় রূপা লেখাপড়ার পাশাপাশি টিউশনি করে তার লেখাপড়ার খরচ চালাতো। রূপা উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে পারে সেজন্য সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদের সহায়তা কামনা করেন।
এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসরাত সাদমীন টিনিউজকে বলেন, দরিদ্র পরিবারের সন্তান হিসেবে রূপার এ অর্জন অনন্য। রূপার এই অর্জন এ উপজেলার দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়ায় উৎসাহ যোগাবে। দোয়া করি তার এ সফলতা অব্যাহত থাকুক। তার ভবিষ্যৎ লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিতে না পারলেও রূপার পাশে থাকবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।