টাঙ্গাইল-৪ উপ-নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষনা করেছে হাইকোর্ট

0 224

ad7_15স্টাফ রিপোর্টার :
জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপ-নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষনা করেছে হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ কাদের সিদ্দিকীর আবেদন গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশনের খারিজাদেশ স্থগিত করেন।

কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন রাগীব রউফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

শুনানী শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আদালত নির্বাচন কমিশনের আদেশের বিষয়ে রুল জারি করেছেন এবং রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করেছেন।

আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আদালত কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর ভাই লতিফ সিদ্দিকী। গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গত ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এরপর নির্বাচন কমিশন এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। সে অনুযায়ী আগামী আগামী ১০ নভেম্বর এখানে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ঋণখেলাপের অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) এই দুই নেতা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল আবেদন করেন।

রোববার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে রায় দেন।

রিটার্নিং অফিসার এবং নির্বাচন কমিশনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী।

এ রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন।

২০১৪ সালে টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর) আসনের উপনির্বাচনেও প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। সে সময়ও ঋণখেলাপের অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিলো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

ব্রেকিং নিউজঃ