টাঙ্গাইল সদরের বাসাখানপুরে নির্মাণ হচ্ছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম
মোজাম্মেল হক ॥
টাঙ্গাইল শহরতলীতে দ্যাইনা ইউনিয়নের বাসাখানপুর এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। বাসাখানপুর ঈদগাহ ময়দানের পাশেই বিশাল জায়গা জুড়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করছেন বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত দেশের ১৮৬টি উপজেলায় ১৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ হবে। সেই ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টুর প্রচেষ্টায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মানে পুরোদমে কাজ চলছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টু টিনিউজকে জানান, দ্রুতই শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি তৈরী হচ্ছে। আশা করা যায় আগামী ৯ মাসের মধ্যে স্টেডিয়ামটি খেলাধূলা জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠবে। মনির এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই স্টেডিয়ামের কাজ করছেন। স্টেডিয়ামের পশ্চিম রাস্তার পাশে তিনতলা কমপ্লেক্স নির্মান করা হবে। দক্ষিনে ২টি এবং পূর্বে ১টি গ্যালারী নির্মান হবে। এখানে ফুটবল লীগের খেলা ছাড়াও অন্যান্য খেলার আয়োজন করা হবে নিয়মিতভাবে।
জেলার ক্রীড়ামোদিরা টিনিউজকে জানান, বাসাখানপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি পেয়ে এলাকার ক্রীড়াপ্রেমী বাসিন্দারা খুবই আনন্দিত। টাঙ্গাইলে খেলার জন্য একটি মাত্র স্টেডিয়াম। যেখানে বছরে ফুটবল তিন মাস ও ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলা নয় মাস করে ভাগাভাগি করে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার আয়োজন করে। এছাড়া এ্যাথলেটিস্সহ বিভিন্ন খেলাধূলার আয়োজন স্টেডিয়ামের একমাত্র মাঠেই করার কারনে ফুটবল ও ক্রিকেট লীগের খেলা সংক্ষিপ্ত পরিসরে আয়োজন করতে হয়।
এছাড়া খুবই দুঃখের বিষয় টাঙ্গাইল জেলা শহরে অবস্থিত ইনডোর স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত জিমনেসিয়ামটি সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবের অধিনে রয়েছে। যে কারণে এখানে বহু বছর ধরে ভলিবল, হ্যান্ডবল, ব্যাটমিন্টনসহ অন্যান্য খেলা বন্ধ রয়েছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার জেলা আয়োজনের ইচ্ছা থাকা সত্বেও মাঠের সঠিক ব্যবহার ও জিমনেসিয়াম না পাওয়ার কারণে ভালো মানের খেলোয়াড় তৈরী হচ্ছে না। ভালোমানের ক্রীড়াবিদ তৈরীতে ভালো মাঠ ও মাঠের সর্বোচ্চ ব্যবহার প্রয়োজন। জিমনেসিয়াম উদ্ধার এবং শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম তৈরী হলে মাঠ ব্যবহারে সমস্যা আর থাকবে না বলে ক্রীড়াপ্রেমীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।