টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি অতিষ্ট জনগন ॥ দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জোগসাজসে উন্নয়ন হয়নি
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি অতিষ্ট জেলার জনগন। টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ অফিসের দূর্নীতিগ্রস্থ দুই নির্বাহী প্রকৌশলী সাহাদৎ হোসেন ও আনোয়ারুল ইসলামের স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতার কারণে জেলা বিদ্যুৎ বিভাগ সর্ম্পূনভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এদের কারণে বর্তমানে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে জেলাবাসী। কতিপয় এসব দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে বর্তমান সরকারের ব্যাপক সফলতাকে ম্লান করে দিচ্ছে টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ বিভাগ অফিসের একটি সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১১, ২০১২ ও ২০১৩ মৌসুমে বর্তমান সরকার টাঙ্গাইল জেলার বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়নের জন্য ১১শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় জেলা শহর ও উপজেলাগুলোর পুরনো তার নতুনভাবে লাগানো, পুরনো ট্যানাসফরমার বদলে নতুনভাবে লাগানোসহ সার্বিক উন্নয়ন। কিন্তু টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ অফিসের কতিপয় দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জোগসাজসে ঠিকাদাররা সে সময় কোন কাজই করেনি। পুরো টাকাই লোপাট হয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। টাঙ্গাইলে সরকারের ১১শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ না হওয়ায় বর্তমানে টাঙ্গাইলে বিদ্যুৎতের ভয়াবহ করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে। বর্তমানে এর প্রভাব জনগনের মধ্যে পড়েছে। ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে জেলাবাসীর।এসব বিষয়ে জেলার জনগণ তদন্তের জন্য দু’দকের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
সম্প্রতি বিদ্যুৎতের এই করুণ অবস্থার কারণে জেলার উদ্দোমী নতুন নেতৃবৃন্দ আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে শহরের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে স্বাভাবিক পরিস্থিতি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগকে। সেই সাথে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষনা দেন।
বিদ্যুৎ সমস্যায় বিপর্যস্থ টাঙ্গাইলবাসীর দূর্ভোগ লাগবে আকস্মিক শনিবার (৩ জুন) দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে বৈল্লা বিদ্যুৎ অফিসে উপস্থিত হন টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সাধারণ সম্পাদক খান আহমেদ শুভ। এ সময় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মানিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাতিনুজ্জামান খান সুখনসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা, টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইল এর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনের সাথে আলোচনাকালে নেতৃবৃন্দ ৭২ ঘন্টার এ সময় বেধে দেন।
তিনিসহ উপস্থিত সবাই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী সঞ্চালন তারের ডেট ওভার হয়ে যাওয়ায় তা পরিবর্তনের কথা জানান। তবে জাতীয় গ্রিড থেকে প্রয়োজনের তুলনায় স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
এ সময় খান আহমেদ শুভ বলেন, জাতীয় গ্রিড থেকে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকার পরেও বেশ কিছুদিন যাবৎ শহরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় কষ্ট। পবিত্র রমজান মাসেও বিদ্যুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়ে উল্টো চরম বিপর্যস্থ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ভোর ৫টা থেকে রাত দুটো পর্যন্ত কাজ করে এ দেশকে নানাভাবে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন। ঠিক তখনই একটি স্বার্থানেস্বী মহল নানা অজুহাতে সমস্যার সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে নিদারুন কষ্ট দিয়ে সরকার বিদ্বেসী করে তুলছে। এভাবে তারা সরকারী উন্নয়নকে ম্লান করে দিবে আমরা তা সহ্য করব এটা ভাবার কোন সুযোগ নেই। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন সাধারণ মানুষের জন্য, আর তা সাধারণ মানুষকেই দিতে হবে বলেও তিনি জানান।