টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডিজিটাল এক্সরে মেশিন সাড়ে ৫ বছর ধরে অকেজো
স্টাফ রিপোর্টার/
সাড়ে পাঁচ বছর ধরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডিজিটাল এক্সরে মেশিন অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। হাসপাতালে এক্সরে করাতে না পেরে দ্বিগুণ টাকা ও সময় ব্যয় করতে হচ্ছে রোগীদের। পাশাপাশি বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্সরে করাতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন অসুস্থ মানুষ। অপরদিকে এনালগ মেশিন চালু আছে বিধায় সমস্যা হচ্ছেনা বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা: মো.লুৎফর রহমান আজাদ।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. কবির হোসেন জানান, ২০১৭ সালের ২ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বেঙ্গল সাইন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির ডিজিটাল এক্সরে মেশিন বসানো হয়। প্রায় ছয় মাস এই মেশিন দিয়ে কাজ চলে। তারপর থেকে মেশিনটি প্রায় সাড়ে ৫ বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে দেখা যায় রেডিওলজি বিভাগে কক্ষটির দেয়ালের প্লাস্টার উঠে গিয়েছে। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় এক্সরে মেশিনটির ওপর ধুলার আস্তর পড়ে রয়েছে। মেশিনটি সচল না থাকায় রোগীদের হাসপাতালের বাইরের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল থেকে অধিক অর্থ ব্যয় করে এক্সরে করতে হচ্ছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা: মো.লুৎফর রহমান আজাদ জানান, ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি চালু না থাকলেও এনালগ মেশিনের মাধ্যমে কাজ হচ্ছে।
এবিষয়ে হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি টাঙ্গাইল সদর আসনের সংসদ সদস্য ছানো্য়ার হোসেন বলেন, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন যে কোম্পানীর সেই কোম্পানীর কাগজ ছাড়া রিপোর্ট প্রিন্ট হয় না। এই কোম্পানীর নকাগজ দেশে পাওয়া যায় না। মুলত কাগজের অভাবেই মেশিনটি সচল রাখা যাচ্ছে না। ইতিপুর্বে ঐ কোম্পানীকে বেশ কয়েকবার অবহিত করা হয়েছে। বর্তমানে রোগীদের এক্সরে করার জন্য শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।