টাঙ্গাইল ছাড়ছে মানুষ ॥ ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন

268

হাসান সিকদার ॥
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সাতদিনের কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সারাদেশসহ টাঙ্গাইল জেলায়। এবার কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় মানুষ বেশ সতর্ক। তুচ্ছ অজুহাতে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না- এমন বদ্ধমূল ধারণা থেকেই মানুষ ছুটছে নিজ গন্তব্যে। সরকারী, বেসরকারী অফিস-আদালতের পাশাপাশি ব্যবসাবাণিজ্য সব কিছু বন্ধ থাকার খবর ছড়িয়ে পড়ায় টাঙ্গাইল ছাড়তে শুরু করেছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ। বুধবার (৩০ জুন) দিনভর বিভিন্ন যানবাহনে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই গ্রামে ফিরে গেছেন শহরবাসী। একইভাবে যারা গ্রামে গিয়ে আটকা পড়েছিলেন তাদেরও একটা অংশ টাঙ্গাইলে ফিরছেন।
এদিকে আগামী এক-দুই সপ্তাহের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে ফেলতে হবে। তাই বাজারে ছিল প্রচন্ড ভিড়, দামও সবকিছু বাড়তি। টাঙ্গাইল শহরে যানবাহনের সংখ্যাও কম। টাঙ্গাইল শহর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে আশেকপুর বাইপাস, রাবানা বাইপাস, করটিয়া বাইপস। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায়, ট্রাক, পিকআপ, সিএনজি, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল ছাড়তে দেখা গেছে তাদের। জানা যায়, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সাতদিন সারাদেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করছে সরকার।
সরকারী সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনে আগের মতো আর কোন তুচ্ছ অজুহাতে ঘর থেকে বের হবার সুযোগ দেয়া হবে না। জরুরী সেবার আওতা ছাড়া সবার জন্য বিধিনিষেধ থাকবে নজিরবিহীন। মাঠে থাকছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। এবারের লকডাউন পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ঈদ-উল-ফিতরে সরকারের বিধিনিষেধ জারি থাকা সত্ত্বেও ঈদ করতে শহর ছেড়েছিল মানুষ। এবারও সামনে ঈদ-উল-আজহা। তাই সরকারের লকডাউনের ঘোষণা আসায় টাঙ্গাইল ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার পরিবহন। কিন্তু সরকারের বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই বাড়ির উদ্দেশে ছুটছে মানুষ। বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে বাড়িফেরা মানুষের ভিড় বাড়তে দেখা গেছে। আশেকপুর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, নতুন বাসস্ট্যান্ড গিয়ে দেখা যায়-দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও মানুষ বিকল্প উপায়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে টাঙ্গাইল ছাড়ছে। মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে চড়ে মানুষ টাঙ্গাইল ছাড়ছে। একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন সোহেল রানা। সোহেল রানা টিনিউজকে বলেন, প্রাইভেটকার ভাড়া করে স্ত্রী-সন্তানকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম। লকডাউন এক থেকে দুই মাস থাকতে পারে। সবকিছু চিন্তাভাবনা করেই ওদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম। ডাবল ভাড়া দিয়ে বাড়ি পাঠাতে হচ্ছে।

 

Comments are closed.

ব্রেকিং নিউজঃ