টাঙ্গাইলে বর্ণিল পহেলা বৈশাখের অপেক্ষা
স্টাফ রিপোর্টার ॥
কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন রমজানে পহেলা বৈশাখ পালনে এবার ভাটা পড়বে। রোজার মধ্যে অভুক্ত অবস্থায় বর্ষবরণ, ক’জন আর ঘর থেকে বের হবে? তবে বাস্তবে টাঙ্গাইল জেলায় মানুষের কিছুদিন ধরে চলা প্রস্তুতি পর্ব যেন সে ইঙ্গিতই দিচ্ছে। একটু নীরবে হলেও, প্রস্তুতি থেমে নেই। আনন্দের এত বড় উপলক্ষ হেলায় হারাতে চান না উৎসবপ্রেমীরা। তাছাড়া পহেলা বৈশাখ শুধু তো উৎসব নয়, বাঙালিত্বের বোধ নিয়ে নতুন করে জেগে ওঠার মহড়া।
সেই ষাটের দশকে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিল। উদার অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল চিন্তার মানুষেরা, বিশেষ করে শিল্পী সমাজ তাতে ফুঁসে ওঠে। সে প্রতিবাদেরই অংশ ছিল মুক্তিযুদ্ধের মৌল চাওয়াগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অভিন্ন চেতনার জায়গা থেকে বর্ণিল শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাঙালির মঙ্গল কামনা করা হয়। গত বছরও ঈদের আগে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনে মেতেছিল বাঙালি। সে অভিজ্ঞতায় এবার আরও বর্ণিল উৎসব হবে বলে আশা। প্রস্তুতি পর্ব দেখেই অনুমান করা যাচ্ছে বর্ণিল হয়ে উঠবে বর্ষবরণ উৎসব। টাঙ্গাইলের নাগরিকরাও অপেক্ষা করে আছেন। বছরের প্রথম দিনটি উপলক্ষে এখন সবাই কেনাকাটায় ব্যস্ত। বৈশাখকে রঙিন করে তুলতে বিভিন্ন কেনাকাটা করছেন তারা। ঈদের প্রস্তুতির মধ্যেই খুঁজে নিচ্ছেন দেশী তাঁতের শাড়ি বা কাচের চুরি। ছেলেরা আলাদা করে পাঞ্জাবি কিনছেন।
উভয়ের পোশাকে থাকছে লাল ও সাদা রঙের প্রাধান্য। বিষয়টি জানা আছে ফ্যাশন ডিজাইনারদেরও। তারাও পহেলা বৈশাখের জন্য লাল সাদা রঙের পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত এখন। দেশীয় পোশাকের দোকানগুলোতে শাড়ি পাঞ্জাবির পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে বৈশাখের থ্রি পিস, ফতুয়া ও টি শার্ট। ঈদের কেনাকাটার ফাঁকে বৈশাখের প্রথম দিন পরার জন্য জামা কাপড় কিনতে দেখা যাচ্ছে। বৈশাখের পোশাকের জন্য আলাদা পরিচিতি লাভ করেছে। টাঙ্গাইল ফুটপাতেও দৃশ্যমান হচ্ছে পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতি। সংশ্লিষ্ট মৃৎশিল্পও এখন জমজমাট। লোক ঐতিহ্যের নানা পণ্য এখানে বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতার উপস্থিতিতেও চোখে পড়ার মতো। সব মিলিয়ে বর্ণিল পহেলা বৈশাখের অপেক্ষায় সকলে।