টাঙ্গাইলে নামাজের পর কোরবানির ধুম ॥ বর্জ্য অপসারণ করেনি পৌরসভা
জাহিদ হাসান ॥
টাঙ্গাইলে ইদুল আজহার উৎসবে শামিল হয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় এই ধর্মীয় উৎসব ইদুল আজহার নামাজে আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের মহিমায় মানুষকে উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। জেলার বিভিন্ন ঈদ গাঁ ও মসজিদগুলোতে রোববার (১০ জুলাই) সকালে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। এরপর শুরু হয় পশু কোরবানি। তবে গত দুই বছরের চেয়ে এবার কোরবানি বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ।
নামাজ আদায়ের পরপরই জেলার বাসাবাড়ি, বিভিন্ন অলিগলি, রাস্তায়, মাঠেসহ যে যেখানে পেরেছে সেখানে পশু কোরবানি শুরু হয়। এদিকে পশু জবাইয়ের পর টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে বর্জ পরিস্কারের কোন ব্যবস্থা দেখা যায়নি। কোরবানির বর্জ অপসারণে টাঙ্গাইল পৌরসভার তেমন কোন সাড়া মেলেনি। কোনবানির পশুর শরীরের অবশিষ্টাংশ বর্জ যত্রতত্র ফেলে রাখতে দেখা গেছে।
টাঙ্গাইল পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত আড়াই হাজার টন বর্জ থাকে। কিন্তু শুধু কোরবানির ঈদের দিনে সেই বর্জ ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টন হয়ে থাকে। ক্ষুব্ধ পৌরবাসি টিনিউজকে জানান, টাঙ্গাইল পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বিকেল ৫টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য পুরোপুরি অপসারণের কথা। কিন্তু পৌরসভার বর্জ অপসারনে কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। আমাদের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে কোনো মাথাব্যথাই নেই। ফলে এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেই। যার কারণে শহরে এখন পর্যন্ত টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। সেটার জন্য ভুগতে হচ্ছে আমাদেরকে। এসব বর্জ দ্রুত অপসারণ করা না হলে শুধু পরিবেশের ক্ষতিই হবে না, শহরের মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিবে।
ক্ষুব্ধ পৌর বাসিন্দারা টিনিউজকে আরও জানান, বর্জ্যের কারণে শিশু ও বয়স্করা নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হবে। শ্বাসকষ্ট দেখা দিবে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বর্জ অপসারনের কাজটি যতটা সম্ভব দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত পৌর কর্তৃপক্ষের।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল হক আলমগীরের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।