টাঙ্গাইলে চলছে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম

0 245

3নোমান আব্দুল্লাহঃ
অগ্রহায়ণ জুড়ে ধান আর ধান, ফসল তোলা আর নবান্নের গান। পৌষের শীতে পিঠা-পুলির ধুম। এ ছিল আবহমান বাংলার চিরায়ত রূপ। ১২ মাসে ১৩ পার্বণের দেশ বাংলাদেশ। এখন শীতকাল। শীত আসলেই বাঙ্গালীদের ঘরে ঘরে চলে পিঠা খাওয়ার ধুম। টাঙ্গাইলে এখন সর্বত্র চলছে শীতের পিঠা বিক্রির ও খাওয়ার ধুম।  জেকে বসতে শুরু করেছে শীত। অলিতে-গলিতে ও রাস্তার পাশে দোকানগুলো সকাল কিংবা সন্ধ্যা নেই পিঠা ব্যবসায়ীরা ভাপা, চিতই পিঠা, তেলের পিঠা পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পিঠা বিক্রি করছে। শীতের সকাল আর সন্ধ্যায় হাওয়ায় ভাসছে এসব পিঠার ঘ্রান। আর এসব পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে  জেলার প্রতিটি এলাকায়। অলিগলি চলছে পিঠা বিক্রির হিড়িক।
মাটির চুলোর ও মাটির পাতিলে বানানোর হয় এসব পিঠা। রসুন মরিচবাটা, শুযাচ পাতাবাটা, শুটকিরবাটা মিলিয়ে চিতই পিঠার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে অনেকেই চিতই পিঠা খাওয়ায় লোভ যেন সামলাতে পারছেন না। নতুন চাল, নারকেল ও খেঁজুরগুরের তৈরি গরম গরম ভাপা পিঠার ও স্বাদ নেয়া হচ্ছে। আর শহরে যারা বাসা-বাড়িতে পিঠা বানাতে পারেন না, তাদের অনেকেই ফুটপাত দোকন, রাস্তার পাশে এবং অলিতে গলিতে বানানো পিঠা কিনে খায়। সকল পেশার লোকজন ও এসবব পিঠা খেয়ে থাকেন। শীতের পিঠা বিক্রি লাভবান হওয়ার ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও পিঠা বিক্রি করছে। ছেলেদের চেয়ে মেয়ারাই পিঠা বেশী বিক্রি করতে দেখা গেছে। টাঙ্গাইল শহরের বটতলা বাজার, শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যোনের সামনের রাস্তা, নতুন বাসস্ট্যান্ড, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, বেবি বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন অলিতে গলিতে পিঠা বিক্রি হচ্ছে।
সরজমিনে শহরের বটতলা বাজার ও শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যোনের সামনের রাস্তায় গিয়ে দেখা যায় সেখানকার পিঠা ব্যবসায়ীরা শীতের পিঠা বিক্রি করছে। পিঠা করার সময় কথা হয় শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যেনের আজহার ইসলামের সাথে। তিনি  বলেন, আমি চিতই পিঠা বিক্রি করি। এতে আমি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মত পিঠা বিক্রি হয়। পিঠা বিক্রির মুনাফা  থেকে ছেলের লেখা পড়া খরচসহ সংসারের সকল খরচ এর উপর নিভর। আমি ১৫ বছর ধরে পিঠা বিক্রি করি।
বটতলা বাজারের আমেনা বেগম বলেন, আমি ৬ থেকে ৭ বছর ধরে পিঠা বিক্রি করি। আমি প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকার পিঠা বিক্রি করি। পিঠা বিক্রি করে আমি লাভবান হয়। আর এই  লাভের টাকা দিয়ে আমি আমার সংসার খরচ বহন করি। পিঠা খাওয়ার সময় কথা হয় এক স্কুল ছাত্রের সাথে। তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন রাস্তার ধারের পিঠা কিনে খাই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

ব্রেকিং নিউজঃ