টাঙ্গাইলে খাদ্যপন্যগুলোর দাম কিছুতেই কমছে না
স্টাফ রিপোর্টার ॥
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণে নতুন করে নিত্যপণ্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে বলে জানান টাঙ্গাইলের খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, এলসি খোলা কমার কারণে ধীরে ধীরে পণ্যের দাম বাড়ছে। এসব কারণে নতুন বছরে টাঙ্গাইলের বাজারে নেই কোন সুখবর। প্রতিটি মানুষের সংসারে যেসব খাদ্যপণ্য বেশী প্রয়োজন, ঠিক সেই খাদ্যপন্যগুলোর দাম কিছুতেই কমছে না। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজারে পা রেখেই নিত্যপণ্যের আগুন দামে অসহায় হয়ে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলেন, আগেও নির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি হয়নি। এখন নতুন করে দাম বেড়েছে। চিনির দাম বৃদ্ধির ঘোষণার পর থেকে বাজারে চিনির সরবরাহ কমে গেছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন করে প্রতি কেজি চিনিতে দাম বাড়বে পাঁচ টাকা। এতে এক কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১১২ টাকায় বিক্রি হবে। কিন্তু জানুয়ারিতেই বাড়তি দামে চিনি বিক্রি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকার কমে মিলছে না। নতুন করে দাম বাড়ায় চিনির বাজার লাগামছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীদের। প্রশাসন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে না বলে খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
শুধু চিনি নয়, মসলাসহ আদা-রসুন ও শুকনো মরিচের দামেও অস্থিরতা চলছে। এখন প্রতি কেজি আদা ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দামও বেড়ে হয়েছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। আগে যে শুকনো মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হতো ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। বর্তমানে সেই শুকনো মরিচ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে সরু চালের দামও বেড়েছে। এছাড়া কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে বয়লার মুরগির দাম।
স্বস্তি নেই এখন শীতের সবজিতেও। প্রায় প্রতিটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে আগের থেকে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশিতে। সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলার কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে হালিতে ডিমের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
বাজারে আসা ক্রেতারা জানান, বাজারের সকল পন্যের দামই উর্দ্ধগতি, কোন কিছুই সাধ্যের মধ্যে নেই। এতে করে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন।
Comments are closed.