টাঙ্গাইলে আকুর টাকুর পাড়ায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার ॥ স্বামী পলাতক

402

স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল পৌর শহরের আকুর টাকুর পাড়ার বটতলা পুরাতন বাজারের পাশে একটি বহুতল ভবন থেকে রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় খাদিজা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত খাদিজার বাড়ি কালিহাতী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত নুরুল হকের মেয়ে।
প্রতিবেশী ফ্লাটের বাসিন্দা নার্গিস বেগম বলেন, নিহত খাদেজা বেগম ও তার স্বামী রাশেদুল ইসলাম এখানে ভাড়া থাকতেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) খাদিজার সাথে কথা বলে আমি গ্রামের বাড়ি চলে যাই। বাসার প্রধান ফটক খোলা থাকায় বাসার মালিক আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানতে চান। পরে আমি বাসার মালিক হেলাল মিয়াকে খাদিজা ও তার স্বামী এবং আরেক ভাড়াটিয়া নিপার সাথে যোগাযোগ করতে বলি। তিনি বলেন, বাসার মালিক পরে খাদিজার কক্ষের সামনে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে মরদেহটি উদ্ধার করে। কয়েক দিন যাবত তাদের সাথে পারিবারিক কলহ চলছিল।




নিহত খাদিজা বেগমের ভাই ইমাম মিয়া বলেন, আমার বোনকে তার আগের স্বামীর কাছ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে বিচ্ছেদ করানো হয়েছে। সে কিছু দিন যাবত টাঙ্গাইল আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীর সহকারি হিসেবে কাজ করতো। কোন ছেলের সাথে বিয়ে বা সম্পর্ক হয়ে ছিল কিনা সেটি আমার জানা নেই।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত খাদিজা বেগম ও তার স্বামী রাশেদুল ইসলাম বটতলা পুরাতন বাজারের পাশে একটি ছয়তলা ভবনের তিনতলার ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন। পরে রাশেদুলের পরিচিত রিনা নামে এক নারীকে সাবলেট হিসেবে ভাড়া উঠায় সে। রিনার সঙ্গে রাশেদুলের পরকীয়ার কারণে কয়েক দিন যাবত স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহ চলছিল। রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাদের ফ্ল্যাটে তালাবদ্ধ দেখে বাসার মালিক ও পাশের বাসার ভাড়াটিয়ারা তালা ভাঙলে খাদিজার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্বামী রাশেদুল ইসলাম ও পরকীয়া প্রেমিকা রিনার পরিচয় পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে পরকীয়ার জের ধরে গৃহবধূ খাদিজাকে হত্যার পর থেকে তার স্বামী রাশেদুল ও রিনা পলাতক রয়েছে।




এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছালাম মিয়া জানান, খবর পাওয়ার পর খাদিজার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তার পায়ের দুই রগ কাটা। তার মুখে কাপড় পেঁচানো এবং বালিশের চাপ দেয়া ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মরদেহটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।