টাঙ্গাইলে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মতিয়ার রহমানের সংবাদ সম্মেলন

0 187

স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের করেছেন মতিয়ার রহমান নামের এক ব্যক্তি। সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে তিনি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি সদর উপজেলার মাঝিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার দাবি, খোরশেদ আলম এবং সুমি আক্তার রিনা এক নারী তার নামে মিথ্যা অপপ্রচার করছে।




সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মতিয়ার রহমান বলেন, আমার নামে কাগমারা এলাকার সুমি আক্তার রিনা মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। সুমি আমার বাসা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। পরে আমার ছেলে রনিকে লোভ দেখিয়ে তার ব্যবসায় পার্টনার করে নেবে। সুমির কোন অর্থ ছিলোনা লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা করতে আশে। কি উদ্দেশ্যে নিয়ে ব্যবসা শুরু করে আমার জানা নেই। দুইমাস না যেতেই জায়গা সংকোলানের অযুহাত দেখিয়ে কাগমারা মেসের মার্কেট তার নিজ বাড়িতে স্থানান্তর করে। যাওয়ার সময় মেশিন, মাল-সামানা, অফিসিয়াল সমস্ত কাগজপত্র বিসমিল্লাহ স্টোরের ৫০ পাতার একটি চেক বইসহ নিয়ে যায়।




মতিয়ার রহমান বলেন, আমার ছেলে রনি ব্যবসার পার্টনার হয়েছে আমাকে না জানিয়ে। পরে সুমি টাকা দিতে না পারায় ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম, রনি বাধ্য হয়ে টাকা বিনিয়োগ করতে থাকে। মেশিন থেকে শুরু করে যাবতীয় মালসামানা রনির টাকায় কেনা। সুমি’র পুজি ৫৫ হাজার টাকা আর মানিকের কাছে দুই লক্ষ টাকা নেয়। পরে রনিকে কি ভাবে ফাসানো যায় সর্বদা এই পরিকল্পনা করতে ব্যস্ত থাকে। ৫৫ হাজার টাকা যার কষ্ট সে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে ১১ লখ টাকার মামলা কিভাবে করে। সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন চেক ছাড়া যে ব্যক্তি ৩ লাখ টাকা দেয় না। ১১ লাখ টাকা চেক ছাড়া সরল বিশ্বাসে দিয়েছে। এটা নিতান্তই হাস্যকর। কোন আইন আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে হয় না। সামাধানের জন্য প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বসতে চেয়ে ছিলাম। কিন্তু সুমি রাজি হয়নি।




তিনি বলেন, এর পর কয়েকটা শালিস করার পর এক পর্যায়ে সুমি আমাকে বলে আমি গরীব মানুষ এই টাকাটা আমাকে দিলে আপনার নেকি হবে। শান্তির লক্ষ্যে আপোষ করতে চেয়েছিলাম। ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলা তুলে নিবে। মানিক যদি ২ লাখ টাকার মামলা তুলে না নেয়। যার কারণে ২ লাখ টাকা বাড়িয়ে ৭ লাখ টাকার পূবালী ব্যাংকের একটি চেক দেই। শর্ত মানিক মামলা তুলে নিলে ২ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে দিবে। সুমিকে ৫ লাখ টাকার একটি চেক অফার করেছিলাম সুমি তা গ্রহণ করেনি। তারপর সুমি ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বিসমিল্লাহ স্টোর নামে যে চেক বইটি, সেই চেক মতিয়ার রহমান নাম দিয়ে সুমি আক্তার ভূয়া একটি চেক তৈরি করে। চেক নং-সি ২১৬৮০৫৩ এই পাতাসহ ৪৭টি পাতা আছে। এই ভূয়া চেকের কথা জানতে পারি সাংবাদিক খোরশেদ আলমের নিকট। এই খোরশেদ আলম আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে এবং কি সুমির যোগ সাজসে এই কর্মকান্ড সম্পূর্ণরুপে আমার উপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে।




তিনি আরও বলেন, টাকা না দিলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। টাকা না দেওয়াতে ক্ষিপ্ত হয়ে এমনকি সুমি আক্তারের দ্বারা প্রভাবিত হয়। কি তথা প্রমানের ভিত্তিতে ইন্টারনেট এবং ইউটিউবে ছড়িয়ে দিয়েছে। সুমির সাথে কথোপকথনের কল রেকর্ড আমার কাছে আছে। চেকের মামলা ৭ লাখ টাকা এবং রনির নামে ৩ লাখ টাকার মামলা। তার মানে এই ১০ লাখ টাকা পেতে সুমির নাটক শুরু হয়।

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.

ব্রেকিং নিউজঃ