টাঙ্গাইলের ৩ উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে ক্ষমা করে দলে নিল আওয়ামী লীগ
স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভবিষ্যতে দলের স্বার্থ পরিপন্থি ও শৃংখলা ভঙ্গ না করার শর্তে টাঙ্গাইলে বর্তমানে দল থেকে অব্যহতি প্রাপ্ত তিন উপজেলা পরিষদের চেয়ার্যমান ও সাবেক একজন চেয়ারম্যানকে ক্ষমা ঘোষনা করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে তাদের ক্ষমার বিষয়টি জানানো হয়।
জানা গেছে, বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী আওয়ামী লীগের সাবেক উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ, কালিহাতী উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী বিকম, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম বিগত ২০১৯ সালের (৩১ মার্চ) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন।
অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম ছাড়া অপর তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতাপুর্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন। এ ঘটনায় ওইসব এলাকায় দলের মধ্যে বিভাজন তৈরী হয়। তাদের দল থেকে বহিস্কারের দাবি উঠে। পরবর্তীতে বিগত ২০২১ সালের ফেব্রয়ারীতে জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, আওয়ামী লীগের প্রেডিয়াম সদস্য কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দে সিদ্ধান্তক্রমে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শৃংখলা ভঙ্গ করায় ওই চারজনকে দলের সকল পদ ও দলীয় কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃংখলা, তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষনাপত্র পরিপন্থি সম্পৃক্ততার জন্য ইতিপুর্বে ওই চারজনকে দল থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছিল। তারা ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন। দোষ স্বীকার করে তারা ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকান্ডে আর যুক্ত না হওয়ার লিখিত অঙ্গিকার করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত (১৭ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুসারে তাদের ক্ষমা করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এ ধরণের সংগঠন রিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হলে তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম টিনিউজকে বলেন, ক্ষমা চেয়ে দলের কাছে আবেদন করেছিলাম। দল বিষয়টি অনুধাবন করে অব্যহতি প্রত্যাহার করে ক্ষমা করেছে। ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জনগণের জন্য কাজ করে যেতে চাই। দলের আদর্শ ও নীতি মেনেই সারাজীবন কাজ করব।
এ বিষয়ে দেলদুয়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ টিনিউজকে বলেন, আমি সারাজীবন আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের প্রতি অনুগত ছিলাম। ভবিষ্যতেও থাকবো। আমাকে ক্ষমা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম টিনিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে ও দলীয় শৃংখলা বজায় রাখতে আর কখনও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবো না, আমি অনুতপ্ত। আমাকে ক্ষমা করে দলের কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চীর কৃতজ্ঞ থাকবো।
Comments are closed.