টাঙ্গাইলের সবর্ত্র পানি আসায় নৌকা তৈরি ও বেচাকেনার ধুম
স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইলের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে নৌকা তৈরি ও বেচাকেনার ধুম পড়েছে। এছাড়া অনেকে পুরাতন নৌকা মেরামত করে নিচ্ছেন চলাচলের উপযোগী করে। জেলায় নিম্নাঞ্চগুলো এরই মধ্যে প্লাবিত হওয়ায় ধুম পড়েছে নতুন নৌকা তৈরী ও কেনা-বেচায়। নৌকা তৈরীর কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। করোনার এই সময়ে নৌকা বিক্রি করে তারা সংসারের সচ্ছলতাও আনছেন।
এখন চলছে বর্ষা কাল। টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শুরু হয়ে গেছে বন্যা। এ কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে নৌকার। বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নদীবেষ্টিত এলাকার জেলেরা নৌকা দিয়ে রাত-দিন মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। চরাঞ্চলের নিচু এলাকার বাসিন্দাদের নৌকাই এ সময় যাতাযাত ও চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠে। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামসহ হাটবাজারে চলাচলের একমাত্র ভরসার বাহন হলো নৌকা। এছাড়া নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে নৌকার ব্যবহার হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। বন্যার সময় নৌকাই একমাত্র ভরসা। বন্যার পরপরই শুরু হবে নৌকা বাইচ। সরজমিনে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নৌকার তৈরীর কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, নৌকা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। কেউ করাত দিয়ে কাঠ কাটায় ব্যস্ত। কেউ হাতুড়ি দিয়ে নৌকায় পেরেক বা গজাল লাগাতে ও কাউকে আবার তৈরি নৌকা বিক্রি করতেও দেখা গিয়েছে। সবমিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছের নৌকা তৈরীর কারিগররা। কারিগররা টিনিউজকে জানান, সারা বছর নৌকা কৈরলৌ বর্ষাকালে তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েকগুন। এখন আগাম বন্যা হওয়ায় নৌকার চাহিদা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকার দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন ক্রেতারা তাদের পছন্দসই নৌকা এখান থেকে কিনে নিচ্ছেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম টিনিউজকে জানান, নৌকার তৈরীর কারিগর সুতারদের সরকারী উদ্যোগে বিভিন্ন সহায়তাতার জানিয়েঝেন টাঙ্গািইল সদর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা। নৌকা নির্মাণ ও ব্যবহারের সুদীর্ঘকালের ঐতিহ্য রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এ বাহনকে ধরে রাখতে এবং নির্মাণ শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই নৌকা নির্মাণ শ্রমিকদের অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।