টাঙ্গাইলের দু:সময়ের ছাত্রলীগ নেতা মনির যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী

0 461

কাজল আর্য ॥
আওয়ামী লীগের দু:সময়ে টাঙ্গাইলের ছাত্র রাজনীতির এক পরীক্ষিত সৈনিকের নাম মনিরুজ্জামান মনির। তিনি আগামী ২৭ মে’র জেলা যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী হয়ে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন। মনিরুজ্জমান বঙ্গের আলীগড় খ্যাত সরকারি সা’দত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক এবং জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত আছেন।




একজন সুবক্তা, ত্যাগী-পরীক্ষিত ও মেধাবী ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি পুরো টাঙ্গাইল জেলায় সুপরিচিত। জেলার ১২ টি উপজেলায়ই মনিরুজ্জামানের রয়েছে অসংখ্য কর্মী-ভক্ত সমর্থক। যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় তার পক্ষে সাড়া জেগেছে জেলায়।
বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শিক কর্মী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জীবনবাজি রেখে সাহসিকতার সাথে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারজন্যে তিনি শিকার হয়েছেন নির্যাতনের। যা আজো সেসময়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্মরণ করেন।




সরকারি সা’দত কলেজে ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহআলী ইসলাম মিন্টু বলেন, মনির ভাই দু:সময়ের নির্যাতিত ছাত্রনেতা। বর্তমানে দক্ষতার সাথে যুবলীগের আইন সম্পাদকের দায়িত্বপালন করছেন। তিনি সভাপতি হলে সংগঠন একজন পরীক্ষিত নেতা পাবে।




ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কালিহাতীর তোফায়েল আহমেদ বলেন, মনির ভাইয়ের মতো জনপ্রিয় ছাত্রনেতা খুবই কম পাওয়া যায়। ছাত্রদের সুখে দুখে ও অধিকার আদায়ে সদা নিবেদিত থাকতেন। সখিপুরের আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা মনির ভাইয়ের নেতৃত্বে বিএনপি জামায়াত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। বর্তমানে দল হাইব্রীডে ভরে গেছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা ত্যগীদের মূল্যায়ন করছেন। আমাদের দাবি মনির ভাইকে সভাপতি করা হোক।




জেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান মনির বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বুকে ধারণ করেন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করি। ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে যুবলীগ আজো বিরতিহীনভাবে দলের কাজ করছি। বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিরুদ্ধে, অবৈধ তত্ত্ববধায়ক সরকারর বাতিলের দাবিতে ও ১/১১ সময়ে নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে জীবনবাজি রেখে সংগ্রাম করেছি। করটিয়া বাইপাসে সেদিন দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। যা সারাদেশে আলোচিত হয়। ফলে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে প্রতিদিন হাজিরা দেওয়ার শর্তে আমাকে মুক্তি দেওয়া হয়। আশা করি দলের নেতৃবৃন্দ আমার অতীত বিচার বিশ্লেষণ করে মূল্যায়ন করবে। আমি সভাপতি হলে দলের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।




উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জমান মনির টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের বীরপুশিয়া এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে। শহরের সাবালিয়া এলাকায় বর্তমানে বসবাস করেন। স্কুল জীবনেই ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ২০০৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও ২০০৪ সালে সরকারি সা’দত কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার নেতৃত্ব দিয়ে যান।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.

ব্রেকিং নিউজঃ