স্টাফ রিপোর্টার ॥
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ। রোববার (৯ জুন) সকাল ১০ টায় নির্ধারিত সময়ে সভায় অংশ নিতে ৯টা ৪৫ মিনিট হতে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করে। এসেই কার্যালয় তালাবদ্ধ দেখে কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িতে থাকে নেতাকর্মীরা। বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আসেন সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন। এমপি এসেও বেশ কিছুক্ষণ বাহিরে দাঁড়িয়ে থেকে জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে ১১টা ১০ মিনিটে কার্যালয় খুলে দেয়া হয়। খোলার পর শুরু হয় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা।
রহস্যজনক কারণে নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টার পর বর্ধিত সভা শুরু হওয়ায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে নানাবিধ গুঞ্জন শোনা যায়। গত উপজেলা নির্বাচনের পর থেকেই সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে গ্রুপিংয়ের সৃষ্টি হয়েছে বলে নেতাকর্মীরা জানান। আর এই গ্রুপিংয়ের কারণেই বর্ধিত সভার দিন এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তারা মনে করেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা টিনিউজকে বলেন, রোববার (৯ জুন) সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আমাদের পূর্বনিধারিত বর্ধিত সভা ছিল। কার্যালয়ে আসার পর দেখতে পাই দরজা তালাবদ্ধ। কে তালা দিয়েছে, কেন দিয়েছে, এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবো না। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনসারী টিনিউজকে বলেন, সকালে এসেই অফিস তালাবদ্ধ দেখি। পরে সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে তালা খোলার ব্যবস্থা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিরুল ইসলাম খানসহ শতাধিক নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত (১৯ মার্চ) সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমকে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর থেকেই সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ দুইগ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বলে দলীয় নেতাকর্মীরা জানান।