জিয়া মুখোশধারী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

228

জাহিদ হাসান ॥
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, জিয়াউর রহমান মুখোশধারী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমানই সবচেয়ে বেশী সুবিধাভোগী। জিয়া সেনা সদস্যসহ বহু মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের জিয়াউর রহমান বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করেছে। জিয়া ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশকে মেধাশূণ্য করার চেষ্টা করেছে। দেশের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। হটাৎ করেই যে আলজাজিরা এমন করেছে, তা ঠিক না। এদেরকে ইন্দন দিচ্ছে দেশ ও দেশের বাহিরের চিহ্নিত ওই ষড়যন্ত্রকারীরাই।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত “মুজিব বর্ষ ও মুজিবনগর” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রয়েছে। মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের প্রথম সরকার। এই সরকারের দিকনিদের্শনায় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে এবং স্বাধীনতা এসেছে। বঙ্গবন্ধুর সঠিক নেতৃত্বে দেশের আপামর জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। পাকিস্তানিরা মুক্তিযুদ্ধের সময় গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে ও পুড়িয়ে দিয়েছিল। তারপরও মুক্তিযোদ্ধাদের দমাতে পারনি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নিদের্শনায় করোনার সময় সরকারের প্রতিটি সেক্টর কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। মাদক, দূর্নীতির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরোটলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। এদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। করোনার হার দিন দিন কমে আসছে। প্রধানমন্ত্রী করোনার সময় প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে খাদ্য পৌছে দিয়েছেন। দক্ষতা ও সচেতনতার মধ্য দিয়ে ফ্রন্টলাইনাররা এগিয়ে এসেছেন করোনাকালীন সময়ে। দেশের উন্নয়ন বর্তমানে দৃশ্যমান। পদ্মা সেতু, মাতারবাড়ি বিদুৎ প্রকল্প, মেট্রোরেল, সড়ক ব্যবস্থার আমুল উন্নয়নসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দেশ এখন প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক এ সময় ওই ষড়যন্ত্রকারীরা আবারও দেশকে পিছিয়ে দিতে নানা রকম ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চালাচ্ছে। যারা কখনও এদেশকে কিছু দিতে পারেনি। তারা আগামীতেও ষড়যন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু দিতে পারবে না।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গণির সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, ছানোয়ার হোসেন এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় প্রমুখ।
সভায় সরকারী কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

Comments are closed.

ব্রেকিং নিউজঃ